পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একজন মুমিন মুসলমানের জীবনে সবচেয়ে বড় দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো পিয়ারা নবী মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণ ও অনুকরণকে অত্যাবশ্যক মনে করা। কেননা, যারা তাঁর অনুসরণ করবে, কেবলমাত্র তারাই পরকালীন জীবনে নাজাত ও মুক্তি লাভের অধিকারী হবে। আর যারা তাঁর জীবনাদর্শের অনুসরণ করবে না, তারা দুনিয়ার জীবনে যেমন হীমগ্রস্ত হবে, তেমনি তাদের নিস্কৃতির কোনো পথই অবশিষ্ট নেই।
আল কুরআনে মহান রাব্বুল আলামীন বিশ্বের সকল মানুষকে সম্বোধন করে বার বার আহবান করেছেন যে, তোমরা আল্লাহ পাকের অনুগত্য করো এবং রাসূলুল্লাহ (সা:)-এর আনুগত্য করো। ইরশাদ হয়েছে : (১) তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসূলের আনুগত্য করো। (সূরা আলে ইমরান: আয়াত ৩২)। (২) তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসূলের অনুসরণ করো, অবশ্যই তোমাদের দয়া করা হবে। (সূরা আলে ইমরান: আয়াত ১৩২)। (৩) হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ পাকের আনুগত্য করো এবং রাসূল (সা:) ও তোমাদের মধ্যে যারা নির্দেশদাতার ভূমিকা পালন করে, তাদের অনুসরণ করো। (সূরা নিসা : আয়াত ৫৯)। (৪) তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, তোমাদের মধ্যে পরস্পর সমঝোতার পথ রচনা করো, আল্লাহ ও রাসূল (সা:)-এর আনুগত্য করো। (সূরা আনফাল: আয়াত ১; ২০; ৪৬)। এই একই আহবান আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত আল কুরআনের আরো ১৫টি স্থানে বিবৃত করেছেন। এতে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, আল্লাহ পাক ও তাঁর প্রিয় রাসূল (সা:)-এর আনুগত্য ছাড়া মুক্তি লাভের কোনোই উপায় নেই।
শুধু তা-ই নয়। আল কুরআনের ১১টি স্থানে আল্লাহ পাক রাসূলে পাক (সা:)-এর জবানে এই ঘোষণা জারি করেছেন। (১) আমি তোমাদের প্রতিপালকের নিকট হতে নিদর্শনসহ প্রেরিত হয়েছি। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার অনুসরণ করো (সূরা আলে ইমরান : আয়াত ৫০)। (২) আমি তোমাদের জন্য বিশ্বস্ত রাসূল। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার অনুসরণ করো। (সূরা শোয়ারা : আয়াত ১০৮; ১২৬; ১৪৪; ১৬৩; ১৭৯)। (৩) আমার বিনিময় আল্লাহ পাকের নিকটই নির্ধারিত আছে। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার অনুসরণ করো। (সূরা শোয়ারা : আয়াত ১১০)। (৪) আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার অনুসরণ করো। আর কখনো সীমালঙ্ঘনকারীদের অনুসরণ করো না। (সূরা শোয়ারা : আয়াত ১৫০)। (৫) তোমরা আল্লাহর ইবাদত করো এবং তাঁকে ভয় করো এবং আমার অনুসরণ করো। (সূরা নূহ: আয়াত ৩)। (৬) অবিশ্বাসীরা যেসব বিষয়ে মতবিরোধ করে, তার কিছু বিষয় আমি তোমাদের নিকট খুলে বলব। সুতরাং তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং আমার অনুসরণ করো। (সূরা যুখরুফ : আয়াত ৬৩)।
মোটকথা, আল্লাহকে ভয় করা, তাঁর ইবাদত করা ও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ছাড়া নিস্তার লাভের কোনোই পথ খোলা নেই। কারণ, রাসূল প্রেরণের উদ্দেশ্যকে আল্লাহ পাক এভাবে ব্যক্ত করেছেন। ইরশাদ হয়েছে : (ক) আমি রাসূল এ জন্যই প্রেরণ করেছি যেন আমার নির্দেশ মোতাবেক তাঁর অনুসরণ করা হয়। (সূরা নিসা : আয়াত ৬৪)। আর যারা রাসূলের বিরোধিতা করবে তারাই জালিম, সীমালঙ্ঘনকারী। তাদের পরিণাম সম্পর্কে আল্লাহ পাক এ ঘোষণা জারি করেছেন। ইরশাদ হয়েছে (খ) সীমালঙ্ঘনকারীদের কোনো সহায়তাকারী নেই এবং সুপারিশকারীও নেই, যার কথা শোনা হবে। (সূরা মুমিন (গাফির) : আয়াত ১৮)।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।