রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আতিয়ার রহমান, নড়াইল থেকে : “পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি; গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে, তারা ফুলের ওপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে। এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি, সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি”। গীতিকার দ্বিজেন্দ্র লাল রায়ের লেখা এই গানের মতো প্রকৃতির এক অপার সৃষ্টি কৃষি সমৃদ্ধ নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলা। সবুজ প্রকৃতির মাঝে সাদা ফুলে ভরে গেছে উপজেলার ধনিয়া ক্ষেত। আর মৌমাছি গুণ গুণ করে মধু সংগ্রহ করে জমা করছে মৌচাকে। মৌমাছির মতো লোহাগড়া উপজেলার কৃষকরা এ মৌসুমে ধনিয়া চাষে ঝুকেছেন। এ অঞ্চলে বেলে দোআঁশ ও দোআঁশ মাটি ধনিয়া, বাদাম, পেঁয়াজ, সরিষা ইত্যাদি ফসল চাষের জন্য বেশ উপযোগী। এ মৌসুমে গ্রামের পথ বেয়ে চলার সময় রাস্তার দু’পাশে যত্রতত্র ধনিয়া ক্ষেত চোখে পড়ছে। এদিকে ধনিয়া পাতা ও ফসল লোহাগড়ার কৃষকদের কাছে একটি লাভজনক ফসলে পরিণত হওয়ায় অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় এ মৌসুমে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ অর্জিত হয়েছে। ঠা-া আবহাওয়া ধনিয়া চাষের জন্য বেশি উপযোগী। উপজেলার রাজুপুর, বাকা, শিংগা, দিঘলিয়া, মলিকপুর, চাচই, দেবী, শরশুনা, সত্রহাজারী গ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে ধনিয়া ক্ষেত। সবুজ পাতা ও সাদা রংয়ের ফুলে ফুলে ভরে গেছে মাঠ। শীতের সকালবেলায় ভেজা মাঠে ধনিয়া পাতার ওপর জমে আছে শিশির। ধনিয়ার ক্ষেতগুলো দেখে মনে হয় কেউ যেন সবুজের মাঝে সাদা চাদর প্রকৃতির মাঠে বিছিয়ে রেখেছে। এদিকে একশ্রেণীর মধুচাষি ধনিয়া ক্ষেতের পাশে মৌমাছির বাক্স বসিয়ে মধু সংগ্রহ করছে। এলাকায় কৃষকরা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হয়েছে। ধনিয়া চাষাবাদ খুব সহজ এবং স্বল্প সময়ে অধিক লাভজনক ফসল। এছাড়া এ ফসলের ক্ষেতে সেচ ও সার খুব কম লাগে। চাচই গ্রামের কৃষক সিদ্দিক শেখ বলেন, “আমি এ বছর ৬০ শতক জমিতে ধনিয়া আবাদ করেছি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি। এখন শেষের দিকে কালো কালো ছানা পোকা ফসলের ক্ষতি করছে। দেবী গ্রামের কৃষক বাকি বলেন, “কানিপ্রতি প্রায় ৫শ’ টাকা করে খরচ হয়েছে। যদি এ মৌসুমে বৃষ্টি না হয় তাহলে ফলন ভালো হবে”। ধনিয়া গাছের বাড়ন্ত ফুলের পরিমাণ ও ফলের বর্ধিষ্ণুতা দেখে নোয়াগ্রাম ইউনিয়নের বার্লিন কাজী, জয়পুর ইউনিয়নের মাহাবুব শিকদার, চাচই গ্রামের নূর ইসলামসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকেরা দাবি করেছেন, চলতি মৌসুমে ধনিয়ার বাম্পার ফলন হবে এবং হাসি ফুটবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মুখে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ধনিয়া চাষাবাদে খরচ ও রোগ-বালাই খুব কম হওয়ায় অন্যান্য মৌসুমের তুলনায় এ মৌসুমে লোহাগড়ায় কৃষকরা অধিক হারে ধনিয়া চাষে করেছে। সে কারণে এ বছর ৩শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে ধনিয়া চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪শ’ ২৫ হেক্টর জমিতে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।