Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আইএসআই প্রধান নিয়োগে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত প্রথাগত: ফাওয়াদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০৯ পিএম

পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বৃহস্পতিবার বলেছেন, আইএসআই প্রধানের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের আগে প্রার্থীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ করাটা একটি প্রচলন ছিল এবং এই প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টা যুক্তিসঙ্গত নয়।

ফাওয়াদ জানান, ‘আইএসআই এর নতুন মহাপরিচালক নিয়োগের প্রক্রিয়া শীঘ্রই সম্পন্ন হবে। এ বিষয়টি নিয়ে একটি নির্দিষ্ট মহল যে খেলাটি খেলতে চেয়েছিলো, তা ব্যর্থ হয়েছে।’ এখন বলা হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী আইএসআই-এর নতুন ডিজি নিয়োগের জন্য প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেবেন। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের নিয়োগের আগে একটি বৈঠক করা প্রচলিত নিয়ম। এই প্রক্রিয়াটিকে বিতর্কিত করা অত্যন্ত অনুপযুক্ত।’

সম্প্রতি, পাকিস্তানের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, প্রধানমন্ত্রী আইএসআই প্রধানের পদের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নিতে চেয়েছিলেন। সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের মধ্যে যে সমঝোতা হয়েছে তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে এই প্রসঙ্গে সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হচ্ছে। সূত্রটি ইঙ্গিত দেয় যে, করাচি কর্পসের কমান্ডার এখনও আইএসআই-এর মহাপরিচালক পদের জন্য সবচেয়ে সম্ভাব্য পছন্দ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিনিধিকে বলেন যে, প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রধানের প্যানেলে সুপারিশকৃত তিনজন কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিতে চান।’

এর পরিপ্রেক্ষিতে ইসলামাবাদের সংসদ ভবনে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়, ফাওয়াদ চৌধুরী জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, ‘বিষয়গুলো পুরোপুরি ঠিক আছে।’ তিনি বলেন, ‘সমস্যা হল, প্রতি ঘন্টায় কেউ না কেউ, খ্যাতি পাওয়ার জন্য, কিছু শব্দ পেঁচিয়ে তা তুলে ধরে (টুইটারে)। এই সময়ে, প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনী এবং সরকারের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই। প্রত্যেকেই যার যার অবস্থানে রয়েছে।’

সরকার কখন নতুন আইএসআই প্রধানকে নিয়োগ দেবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রীর সাথে থাকা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক যোগাযোগ বিষয়ক বিশেষ সহকারী শাহবাজ গিল বলেন, ‘এটা একটি গুরুতর বিষয়। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করা ঠিক নয়।’ তিনি বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী ‘সিদ্ধান্ত নেয়ার’ সাথে সাথেই তথ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমের সাথে খবরটি শেয়ার করবেন এবং তিনি গণমাধ্যমকে জাতীয় কোন বিষয়ে গুজব ছড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। এই ইস্যুতে বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্বের মধ্যে কথিত অচলাবস্থার পরে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানবুধবার দেশটির অন্যতম শক্তিশালী দায়িত্বের জন্য প্রার্থীদের নাম নিয়ে একটি সারসংক্ষেপ পেয়েছিলেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ডনকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী ডিজি আইএসআই -এর কার্যালয়ের নাম সম্বলিত সারসংক্ষেপ পেয়েছেন।

গত সপ্তাহে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া বিষয়ক শাখা, ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) ঘোষণা করেছিল যে, লেফটেন্যান্ট জেনারেল নাদিম আহমেদ আনজুমকে আইএসআই-এর নতুন প্রধান এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে পেশোয়ারের কর্পসের কমান্ডার হিসাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যেহেতু পরবর্তী দু’দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি, তাই এটি তীব্র জল্পনা-কল্পনার জন্ম দেয়, সরকারকে এই বিষয়ে নীরবতা ভাঙতে বাধ্য করে।

তথ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী ইমরান এবং সেনাপ্রধান গত রাতে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য ‘দীর্ঘ বৈঠক’ করেছিলেন, পরে প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে আস্থায় নিয়েছিলেন। বুধবার, চৌধুরী টুইট করে জানান, নতুন ডিজি আইএসআই নিয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং সিওএএসের মধ্যে আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে এবং নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তিনি লিখেছেন, ‘বেসামরিক ও সামরিক নেতৃত্ব আবার প্রমাণ করেছে যে সমস্ত প্রতিষ্ঠান দেশের স্থিতিশীলতা, অখণ্ডতা এবং উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ।’ সূত্র: ডন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ