পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ কেন যেতে দেওয়া হচ্ছে না সরকারের কাছে সেই প্রশ্ন আবারও রেখেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আপনারা জেনেছেন দেশনেত্রী হাসপাতালে। তিনি অসুস্থ। কেন হাসপাতালে? তিনি যে তিন বছর জেলে ছিলেন সেখানে তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। আমি বলছি, তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। ইচ্ছা করে তার চিকিৎসা করেনি। চিকিৎসকরা বার বার করে বলেছেন, তার (খালেদা জিয়া) যে অসুস্থতা, যে রোগগুলো আছে, সেই রোগগুলোর চিকিৎসা এখানে (দেশে) পূর্ণাঙ্গভাবে সম্ভব নয়।
গতকাল বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির মরহুম নেতা অ্যাডভোকেট আফসার আহমদ সিদ্দিকীর ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আফসার আহমদ সিদ্দিকী স্মৃতি ফাউন্ডেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আফসার আহমদ যশোর পৌরসভার চেয়ারম্যান ও যশোর-৫ আসন থেকে দুই বার এমপি ছিলেন। ২০০১ সালের ১২ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি মারা যান।
সব রোগের একসঙ্গে চিকিৎসা করা যায়- এমন ‘মানসম্পন্ন’ হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে নেওয়া দরকার মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, কেন বেগম খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিন তাকে দিচ্ছেন না? বেগম জিয়া তো দয়া চাচ্ছেন না আপনাদের কাছে। আপনারা তার যে প্রাপ্য জামিন সেটা দেন। এই ধরনের মামলায় সবাইকে তো জামিন দিয়েছেন আপনারা। তাহলে তাকে জামিন দিচ্ছেন না কেন?
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিল তার পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।
ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা (সরকার) তাকে জেলে রেখেছেন এই কারণে যে, আপনারা জানেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যদি বের হন তাহলে আপনাদের তখতে তাউস থাকবে না।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, কয়েকদিন ধরে তার অল্প অল্প জ্বর আসছিল। চিকিৎসকরা দেখেছেন যে, যেহেতেু সেই হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পর তার আর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়নি, টেস্ট হয়নি, সুতরাং তাকে হাসপাতালে নিয়ে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো করে ট্রিটমেন্টের তারা ব্যবস্থা নিতে চান।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস,ডায়াবেটিস ও চোখের সমস্যায় ভুগছেন। গুলশানের বাসা ফিরোজায় অবস্থানের সময় গত এপ্রিলে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। কোভিডোত্তর জটিলতায় ২৭ এপ্রিল খালেদাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিনের মধ্যে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। প্রায় দুই মাস সিসিইউতে ছিলেন। পরে ১৯ জুন মেডিকেল বোর্ড বাসায় নিয়ে চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে ছাড়পত্র দেয়।
ফাউন্ডেশনের আহবায়ক মরহুম নেতার সহধর্মিনী জাহানারা সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ও সদস্য জামিল আহমদ সিদ্দীকীর সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম, শামসুজ্জামান দুদু, অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়া, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, হেলেন জেরিন খান বক্তব্য রাখেন।###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।