বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কিশোর-কিশোরীর মধ্যে প্রেম-ভালোবাসা চলছিল। এ অবস্থায় দুজনের বিয়ের আশায় বাধ সাধে বয়স ও দুই পরিবার। একপর্যায়ে একে অপরের হাত ধরে পালিয়ে যায় তারা। কোথাও খুঁজে না পেয়ে কিশোরীর পরিবার ওই কিশোর ও তার স্বজন-বন্ধুদের অভিযুক্ত করে অপহরণের মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ কিশোর-কিশোরীকে উদ্ধার করে।
কিশোরীকে পরিবারে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রেমিক কিশোরকে আদালতের মাধ্যমে পাঠানো হয় কারাগারে। এর ২৫ দিন পর কিশোরী বিয়ের দাবি নিয়ে গত দুই দিন ধরে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের তারাপাশা গ্রামে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ওই গ্রামের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে পাশের বাড়ির মো. সেলিমের পুত্র মো. শাহজাহানের (১৭) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ অবস্থায় গত ৬ আগস্ট দুজনই নিজ নিজ বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে কিশোরীর পরিবার গত ১০ আগস্ট নান্দাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এ অবস্থায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় কিশোরীর বাবা গত ২৩ আগস্ট নান্দাইল থানায় ৫ জনকে অভিযুক্ত করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রায় ২০ দিন পর পুলিশ অপহৃত ও অপহরণকারীকে উদ্ধার করে আদালতে নিয়ে যায়।
আদালত মেয়ের জবানবন্দি রেকর্ডভুক্ত করে তার সম্মতিতে বাবা-মায়ের জিম্মায় দেন এবং অভিযুক্তকে কারাগারে পাঠায়। এর মধ্যে ওই কিশোরী বিয়ের দাবি নিয়ে গত সোমবার সন্ধ্যার পর প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে হাজির হয়। প্রেমিক কারাগারে থাকলেও তার একটাই কথা, 'আমি তারে জামিনে আইন্যা বিয়া করবাম। অন্যথায় এহানেই অইবো আমার জীবন শেষ।’ এ ঘটনার পর কিশোরের বাবা মো. সেলিম নিরাপত্তার অজুহাত এনে থানায় ঘটনা অবহিত করলেও কিশোরী তার অবস্থানে অনড় রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রুবেল হোসেন জানান, আমি অপহৃতকে উদ্ধার করে আদালতের মাধ্যমে পরিবারের জিম্মায় দিয়েছি। এখন কী হলো তা পুলিশের দেখার বিষয় নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।