পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সততা, সাহস ও দূরদর্শিতার জন্য আজ সুফল পাচ্ছে বাংলাদেশ। সবাই কিন্তু একটি প্রশ্ন করে, তোমাদের প্রধানমন্ত্রী কীভাবে দেশটা এই পর্যায়ে নিয়ে আসছে; তারা কেউ বিশ্বাস করতে চায় না। এখন প্রতিটি সেক্টরেই উন্নতি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে যখন ক্ষমতায় এলেন, তখন মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র সাড়ে ৪০০ ডলার। ১১ বছর পর আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২২৭ ডলারে। এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর মতো দেশের প্রত্যেক নাগরিককে পরিশ্রম করতে হবে।
গতকাল শনিবার ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আইসিটি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা এবং ইনফো-সরকার (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্পের উপজেলার ২২টি ইউনিয়নের কানেক্টিভিটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বর্তমান সরকারে বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নসহ বেসরকারি শিল্পের বিকাশ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামসহ মানসম্পন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজার সম্প্রসারণের মাধ্যমে প্রতিটি গ্রামে এখন আধুনিক শহরের সব সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
সালমান এফ রহমান বলেন, কভিডকালে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সংগ্রাম করেছি। করোনাকালে আমাদের অর্থনীতি অনেক দেশের তুলনায় বেশ ভালো ছিল। বিশেষ করে পোশাক খাতে আমরা ভালো করেছি। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির বড় একটি শক্তি। কিন্তু শুধু রেমিট্যান্স কিংবা এক-দুটো খাতের ওপর নির্ভর করলে আমাদের চলবে না। অন্যান্য দিকেও আমাদের ভালো করতে হবে।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নমুখী কার্যক্রম ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে দেশের গ্রামগুলো এখন শহরে রূপান্তর হচ্ছে। একসময় গ্রাম অঞ্চলে বিদ্যুৎ ছিল না। বর্তমান সরকারের সময়ে দেশের অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুতায়িত করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জের আব্দুল ওয়াছেক মিলনায়তনে ঢাকা জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ, দোহার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন আহমেদ ঝিলু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ন কবির প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।