Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কমলনগরের চরকাদিরায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা

এবারো ভোটারদের নজর হাতপাখা দিকে

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৩৭ এএম

আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে ইউনিয়নটির ৯ টি ওয়ার্ডের গ্রামে গঞ্জে জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা। ব্যস্ত সময় পার করছেন ভোটার ও প্রার্থীরা। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে এবারো প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী,দেশের শীর্ষ আলেম, আল্লামা খালেদ সাইফুল্লাহ পীর সাহেব কমলনগর। অন্যদিকে নৌকা প্রতিক পেতে নুরুল ইসলাম সাগর,ওমর ফারুক ভুঁইয়া,
আশ্রাফ উদ্দীন রাজু,সফিক উল্লাহ বাংলা নেতা ও ডাঃ হারুনুর রশীদ লড়াই করলেও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ভোটারদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে,
কমলনগর উপজেলার চরকাদিরা ইউনিয়নে চরমোনাই পীরের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শক্ত অবস্থান রয়েছে। এই ইউনিয়নে বিগত নির্বাচনেও নৌকার প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দীন রাজুকে পরাজিত করে ইসলামী আন্দোলন সমর্থিত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান হন। বিগত ৫ বছরে হাতপাখার এই চেয়ারম্যান জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিষদের সাথে সমন্বয় করে চরকাদিরা ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। সরকারী সকল বরাদ্দ সঠিক ভাবে বন্টন,এলাকার রাস্তাঘাট পোল কালভার্টের উন্নয়ন সহ চরকাদিরা ইউনিয়নকে একটি সেবাধর্মী ইউনিয়ন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাছাড়া একসময়ের অশান্ত চরকাদিরা ইউনিয়নকে শান্তি প্রিয় ইউনিয়নে রুপান্তরিত করছেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ। চরকাদিরা ইউনিয়নে বিগত ৫ বছরে কোন প্রকার মারামারি, হানাহানি,খুনখারাবি,রাহাজানি, চিন্তাই, চুরি ডাকাতি নেই বলে চলে। হয়রানি মুক্ত একটি ইউনিয়নের নাম চরকাদিরা ইউনিয়ন। চেয়ারম্যান মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহর ৫ বছরের শাসনামলে চরকাদিরা ইউনিয়নে দলবাজ,অস্ত্রবাজ,সন্ত্রাসবাজ,
চাঁদাবাজ,টেন্ডারবাজ, চুরি ডাকাতি সহ দালালমুক্ত একটি ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।এতে চরকাদিরা ইউনিয়নের মানুষ ও ভোটাররা এবারো মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ কে চেয়ারম্যান হিসেবে চাচ্ছেন।
তার ৫ বছরের উন্নয়ন অন্য চেয়ারম্যানদের ২০ বছরের উন্নয়নের সমান বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
ভোটাররা জানান এবারের নির্বাচনে নৌকার কর্মী সমর্থকরা নির্বাচনের পরিবেশ উত্তপ্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সাধারণ মানুষ ও আলেম ওলামারা অক্যবদ্ব্য হয়েছে। নির্বাচনে কোন প্রকার মারামারি হানাহানি ও কারচুপি করা হলে রক্ত দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন তারা।
অতিতে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী আশ্রাফ উদ্দীন রাজু এর আগে ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে সাংবাদিক ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে দুর্ব্যবহার ও গায়ে হাত তোলা সহ চরকাদিরা ইউনিয়নের সাধারণ মানুষকে নানা হুমকি ধমকি ও সরকারী বরাদ্দ তছরুপ করা সহ নানা অনিয়ম দূর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সমালোচিত হন।পরবর্তী গত নির্বাচনে জনগন বিপুল ভোটে তাকে পরাজিত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহকে হাতপাখা প্রতীকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। চরকাদিরা ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে,হাতপাখার কর্মী সমর্থকদের পকেটে কাঁপনের কাপড়।

জেলা-উপজেলা প্রশাসনের কাছে তাদের দাবী একটি অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য। অবাধ সুস্থ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে পারলে হাতপাখার বিজয় সুনিশ্চিত। কোন প্রকার নয়ছয় করা হলে চরকাদিরা ইউনিয়নে রক্তপাতের আশংকা ভোটারদের।

এব্যাপারে হাতপাখার চেয়ারম্যান প্রার্থী মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন,আমি ৫ বছর চরকাদিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। আমার এলাকায় কোন মানুষ বলতে পারবেনা যে, আমি কোন মানুষের ক্ষতি করছি। আর উন্নয়নের চিত্র আপনারা ঘুরে দেখেন। কোন প্রকার দুর্নীতি আমার ইউনিয়নে হয়নি। এখনো অনেক কাজ বাকী আছে। আমি যদি আবারো নির্বাচিত হতে পারি তাহলে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করবো ইনশাআল্লাহ। এবং চরকাদিরা ইউনিয়ন হবে সারা বাংলাদেশের মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নে কোন প্রকার দলবাজি,চাঁদাবাজি,অস্ত্রবাজী,সন্ত্রাসী, দুর্নীতি দুঃশাসন,হামলা মামলা নির্যাতন,নিপিড়ন চলবেনা। মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: উপজেলা নির্বাচন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ