মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত শতাব্দীর ঘটনা। জাপানের টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে ১৯৫৪ সালে নামেন এক ব্যক্তি। অন্যান্য যাত্রীদের মতো তাকেও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সামনে হাজির হতে হয়।
যাত্রীর আচরণ ও সঙ্গে থাকা নথি সবই ছিল সঠিক। তাতে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়নি। কিন্তু যাত্রীর একটি কথা শুনেই চমকে উঠেছিলেন তারা। নিজের দেশের এমন একটি নাম বলেছিলেন মানচিত্রে যার কোনও অস্তিত্বই ছিল না। অথচ ওই ব্যক্তির পাসপোর্টেও ওই দেশের নামই লেখা ছিল!
ওই ব্যক্তি তার দেশের নাম বলেছিলেন ‘টরেড’। এ রকম কোনও দেশ মানচিত্রে নেই। অথচ ব্যক্তির পাসপোর্টেও এই দেশের নামই লেখা ছিল এবং পাসপোর্ট খতিয়ে দেখে কোনও ভুল খুঁজে পাননি কর্মকর্তারা।
শেষে মানচিত্রে দেশের অবস্থান দেখাতে বলেন তারা। ওই ব্যক্তি বিন্দুমাত্র সময় না নিয়ে মানচিত্রে নিজের দেশের উপর আঙুল রাখেন। তিনি যেটাকে টরেড বলে চিহ্নিত করেছিলেন, সেটি বাস্তবে ছিল অ্যান্ডোরা। স্পেন এবং ফ্রান্সের সীমান্তে অবস্থিত একটি দেশ।
তার হাজার বছরেরও পুরনো দেশ কেন মানচিত্রে অ্যান্ডোরা নামে চিহ্নিত রয়েছে সে নিয়ে তিনি বিস্ময় প্রকাশ করেন। তার কাছে একাধিক দেশের মুদ্রা পান কাস্টমস কর্মকর্তারা। তিনি একাধিক ভাষায় অনর্গল কথা বলতেও পারতেন।
টোকিওর যে সংস্থায় তিনি কর্মরত বলে জানিয়েছিলেন, খোঁজ নিয়ে দেখা যায় সেই সংস্থা রয়েছে। অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে বেআইনি কিছুর প্রমাণ তখনও পর্যন্ত পাননি কর্মকর্তারা। তবে টোকিওর যে হোটেলে তিনি থাকেন বলে জানিয়েছিলেন সেই হোটেলের অস্তিত্ব থাকলেও তাতে তার নামে কোনও রুম বুকিং হয়নি বলে জানা গিয়েছিল।
তার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য শেষে বিমানবন্দরের কাছে একটি হোটেলে তাকে সেই রাতের মতো রাখার ব্যবস্থা করেন কর্মকর্তারা। তিনি যাতে পালাতে না পারেন সে জন্য রুমের বাইরে দু’জন নিরাপত্তারক্ষীও মোতায়েন করা হয়।
রুমে একটিমাত্র দরজা ছিল। কোনও ব্যালকনিও ছিল না। বহুতলের একেবারে উপরের দিকে ছিল সেই রুম। অথচ পরদিন সকালে কাস্টমস কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার রুমে প্রবেশ করে হতভম্ব হয়ে যান। রুমের মধ্যে ওই ব্যক্তি ছিলেন না। দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করা ছিল।
অনেক চেষ্টার পরও তার কোনও খোঁজ মেলেনি। কী ভাবে তিনি সকলের নজর এড়িয়ে চলে গেলেন তা আজও জানা যায়নি। পরবর্তীকালে তাকে নিয়ে নানা মত উঠে এসেছে। কেউ মনে করেন, তিনি টাইম ট্রাভেল করে এসেছিলেন। কারও মতে তিনি ভিন্গ্রহের মানুষ। হুবহু পৃথিবীর মতোই দেখতে তার সেই গ্রহ। ওই গ্রহেরই একটি দেশ টরেড। রহস্যজনক দেশ থেকে আসা ওই ব্যক্তি রহস্য হয়েই রয়ে গেলেন। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।