Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিক্রি কমেছে সঞ্চয়পত্রের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ৫ হাজার ৩৬৫ কোটি টাকার নতুন বিনিয়োগ এসেছে জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে, যা গত অর্থবছরের জুলাইয়ে আসা বিনিয়োগের তুলনায় ৩ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা বা ৩৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ কম। গত বছরের জুলাইয়ে সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়োগ আসে ৮ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। এদিকে পুরনো সঞ্চয়পত্রের মূল ও মুনাফা পরিশোধের পর গত জুলাইয়ে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়ায় ২ হাজার ১০৪ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাইয়ে এ খাত থেকে সরকারের নিট ঋণ এসেছিল ৩ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রাপ্ত তথ্যে আরও দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পরিবার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকার। তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার। পেনশনার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৪১০ কোটি টাকার।
এছাড়া ৫ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ৫৭০ কোটি টাকার। ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকের মেয়াদি আমানতে নতুন বিনিয়োগ এসেছে প্রায় ৩০ কোটি টাকার। সাধারণ আমানতে বিনিয়োগ এসেছে ১৬ কোটি টাকা। ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগ এসেছে ৫৭ কোটি টাকার। সব মিলিয়ে গত জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্রে নতুন বিনিয়োগ আসে ৫ হাজার ৩৬৫ কোটি ১ লাখ টাকার। ওই মাসে পুরনো সঞ্চয়পত্র মেয়াদপূর্তিতে মূল টাকা পরিশোধ করা হয় ১ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। মুনাফা পরিশোধ করা হয়েছে ২ হাজার ৯২ কোটি টাকার। ফলে জুলাই মাসে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়ায় ২ হাজার ১০৪ কোটি টাকা। বাজেট ঘাটতি মেটাতে চলতি অর্থবছরে এ খাত থেকে সরকারের নিট ৩২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে। সেই হিসাবে প্রথম মাসে অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার ৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ ঋণ নিয়েছে সরকার।
বিদায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) সঞ্চয়পত্র থেকে ৪১ হাজার ৯৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা নিট ঋণ নেয় সরকার। যেখানে গত অর্থবছরে মূল বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে সরকারের নিট ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ২০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষদিকে এ খাতের ঋণ বেড়ে যাওয়ায় সংশোধিত বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৩০ হাজার ৩০২ কোটি টাকা করা হয়। ওই অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার অনেক বেশি ঋণ আসায় চলতি অর্থবছরে এ খাতের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। তবে সম্প্রতি সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগের অঙ্কের ওপর ভিত্তি করে সরকার মুনাফার হার পুনঃনির্ধারণ করায় এ খাতের বিনিয়োগ আরও কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন খাত-সংশ্লিষ্টরা।
গত ২১ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সঞ্চয়পত্রে ১৫ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ থাকলে মুনাফা কমিয়ে আনার কথা বলা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এখন থেকে কোনো বিনিয়োগকারী সঞ্চয়পত্রে প্রথম ১৫ লাখ টাকার বিনিয়োগের ওপর আগের হারেই মুনাফা পাবেন। ১৫ লাখ থেকে ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগে মুনাফার হার ১ শতাংশ কমবে। ৩০ লাখ টাকার বেশি বিনিয়োগ করলে ওই বিনিয়োগের মুনাফার হার ২ শতাংশ কমবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ বাড়তে থাকায় চলতি ২০২১ সালের জুলাই শেষে এ খাতে সরকারের নিট ঋণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৪৬ হাজার ১৯৮ কোটি টাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সঞ্চয়পত্র

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ