পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এসবিএসি) ২ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (ডিএমডি) ১১ কর্মকর্তাকে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দিন আহমেদ জানান, ২ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেন- মো. কামাল উদ্দিন ও শফিউদ্দিন আহমেদ। অন্যান্য কর্মকর্তারা ক্রেডিট প্রশাসন এবং আন্তর্জাতিক বিভাগসহ কিছু বিভাগের প্রধান এবং এসবিএসির বিভিন্ন শাখা পরিচালক। মোসলেহ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী গত সোমবার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসবিএসি। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি এসবিএসিকে ৩টি পৃথক চিঠি জারি করেছে। যেসব চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, এসবিএসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেনের মালিকানাধীন লকপুর গ্রুপের ঋণ নিশ্চিত করতে কর্মকর্তারা সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের মধ্যে অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে গত ৭ সেপ্টেম্বর পদ থেকে সরে দাঁড়ান এসএম আমজাদ হোসেন।
এসএম আমজাদ হোসেন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়া, জালিয়াতি ও শুল্ক ফাঁকিসহ অন্যান্য অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তদন্তের মুখোমুখি হন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন দল সম্প্রতি জানতে পেরেছে, এসবিএসি আমদানি পরিশোধের জন্য ইস্টার্ন পলিমার লিমিটেডকে ৩১৭ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে তাদের নিজস্ব পরিচালকদের কোনো ঋণ দিলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছ থেকে আগেই অনুমোদন নিতে হবে। ইস্টার্ন পলিমার লকপুর গ্উপের একটি প্রতিষ্ঠান এবং এসএম আমজাদ হোসেন এই গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কর্মকর্তারা বলেন, এসবিএসি এসএম আমজাদ হোসেনকে ঋণ দেয়ার কোনো অনুমতি নেয়নি। সুতরাং এটি ব্যাংকিং নিয়মের লঙ্ঘন।
এমনকি বরখাস্ত কর্মকর্তারা ৩১৭ কোটি টাকার মধ্যে ১৪১ কোটি টাকা আমদানি পরিশোধের জন্য ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের থেকে পূর্ব অনুমোদন নেননি বলে এসবিএসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তবে, বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।