বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পোস্ট কোভিড জটিলতা জটিলতায় মৃত্যু হয়ে পারে মানুষের। মৃত্যু হচ্ছে তেমনভাবে। কিন্তু এখনো নিশ্চিত নয়, এহেন মৃত্যুর পেছনের আসল কারণ কি ? আসল কারণ জানার পূর্বেই মরছে মানুষ সিলেটে। সেই মৃত্যু ব্যক্তিদের মধ্যে সিলেট আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সের ইনডোরে ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা মওদুদ আহমদ। এক গেম খেলে কোর্টের পাশে চেয়ারে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ অসুস্থবোধ করে জ্ঞান হারান। সঙ্গে সঙ্গে সহ খেলোয়াড়রা তাকে নিয়ে যান পাশের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান আর বেঁচে নেই তিনি। ঘটনাটি গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাত ১০টার। মওদুদ আহমদের মতো এ ইনডোরে খেলতে আসা আরও দুই অ্যামেচার খেলোয়াড়ের মৃত্যু হয়েছে আকস্মিক। সিলেট ইউনিসেফে কর্মরত ডা. সেলিম আহমদ খেলতে গিয়েছিলেন কক্সবাজারের রামুতে। খেলারত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। আরেক অ্যামেচার খেলোয়াড় বীমা কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম। সকালে নাশতা খাওয়ার সময় চেয়ার থেকে ঢলে পড়েন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে। গত দুই মাসের মধ্যে আকস্মিক মারা গেছেন এ তিন অ্যামেচার ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়। এছাড়া প্রায় প্রতিদিনই খবর মিলছে ‘হঠাৎ মৃত্যু’র। প্রায় ছয় মাস ধরে ু বেড়েই চলেছে এমন মৃত্যর সারি। গ্রামাঞ্চলেও বেড়েছে এমন মৃত্যু। ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় মারা যান জকিগঞ্জ উপজেলার গণিপুর গ্রামের আলতা আহমদ। আর একই দিন ফজরের নামাজের পর হঠাৎ মারা যান একই গ্রামের এবাদ আহমদ। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘হঠাৎ মৃত্যু’র এমন ঘটনার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে বড় একটি কারণ হতে পারে ‘পোস্ট কভিড’ জটিলতা। অনেকে করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পর ‘ফলোআপ ট্রিটমেন্টের’ ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। এর মধ্যে করোনা যাদের ফুসফুস ও হার্টকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তাদের ক্ষেত্রে ‘হঠাৎ মৃত্যু’র আশঙ্কা বেশি সিলেটে গত জুনের মধ্যভাগ থেকে আগস্ট পর্যন্তভয়াবহ রূপ নেয় করোনা সংক্রমণ। ওই সময় হাসপাতালে শয্যা সংকটে অনেকেই বাসায় থেকে চিকিৎসা নেন। করোনার উপসর্গ থাকলেও অনেকে নমুনা পরীক্ষাও করাননি। কেউ কেউ চিকিৎসকের শরণাপন্ন না হয়ে ফার্মেসি থেকে ওষুধ নিয়ে সেবন করেন। পরীক্ষা না করায় করোনা আক্রান্তের বিষয়টি অনেকের অজানা থেকে যায়। আবার যারা নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন তারাও পরবর্তীতে নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর আর ‘ফলোআপ ট্রিটমেন্টের’ জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি। ফলে পোস্ট কভিড জটিলতাকে সঙ্গী করেই দিন পার করছিলেন তারা। এতে নীরবে দিন দিন আক্রান্তদের হার্ট ও ফুসফুস আরও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল।
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. শিশির চক্রবর্তী বলেন, ‘কভিড আক্রান্ত অনেকের ফুসফুস ও হার্ট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিন্তু বেশির ভাগই কভিড নেগেটিভ হওয়ার পর থাকেন না স্বাস্থ্য সচেতন। অথচ এক বছর পর্যন্ত পোস্ট কভিড জটিলতা থাকতে পারে। কিন্তু পোস্ট কভিড জটিলতা থাকলেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না অনেকে। এসব ক্ষেত্রে যাদের ফুসফুস, হার্ট ও ডায়াবেটিসের মতো রোগ যাদের আছে, আকস্মিক মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়তে পারেন তারা।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘পোস্ট কভিডের কারণে হঠাৎ মৃত্যু বেড়েছে কি না বলা যাচ্ছে না নিশ্চিত করে। তবে কারও জটিল রোগ থাকলে কভিড-১৯-উত্তর সতর্কতা ও চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।