বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন আগামী কাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। একটি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ২১ জন, যার মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৮ জন, বিএনপির একজন এবং বাকি দু’জন স্বতন্ত্র। আওয়ামী লীগের দেড় ডজন প্রার্থীর বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে। তারা প্রার্থী হওয়ায় এ নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছেন অন্যান্য প্রার্থী ও ভোটাররা। চকবাজার ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪১। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৬ হাজার ২১৬ জন এবং নারী ভোটার ১৫ হাজার ৮২৫ জন। ভোটকেন্দ্র ১৫টি। ৮৬টি বুথে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ হবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন জানিয়েছেন, সব কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি কেন্দ্রে ছয়জন অস্ত্রসহ পুলিশ, দুজন অস্ত্রসহ আনসার এবং ১০ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এর মধ্যে নারী পুলিশ থাকবে চারজন। এ ছাড়া ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন বিচারিক হাকিম নিয়োজিত থাকবেন। পুলিশ ও র্যাবের টহল দল থাকবে।
চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত চসিক নির্বাচনে ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিনটু। চট্টগ্রাম পৌরসভার কমিশনার থেকে সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর পর্যন্ত- তিনি ছিলেন সাতবারের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। গত ১৮ মার্চ তিনি মারা যান। সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিনটুর স্ত্রী মেহেরুন্নিসা খানম উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ১৮ প্রার্থীর মধ্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারীরা আছেন। ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত দু’জন প্রার্থী হয়েছেন। তারা হলেন- আবদুর রউফ ও নুর মোস্তফা টিনু। টিনুর বিরুদ্ধে অবৈধ অস্ত্র রাখা ও হত্যাচেষ্টাসহ থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। তিনি এখন কারাগারে। নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবি করলেও সংগঠনটির কোনো পদে নেই টিনু। ২০১৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর র্যাবের হাতে গ্রেফতার হয় অস্ত্রসহ। পরে জামিন পেলেও কয়েকমাস আগে আবার জেলে যান। আবদুর রউফ চকবাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক। সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী রউফের বিরুদ্ধে রয়েছে চাঁদাবাজি, কিশোর গ্যাং লালনসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ। ২০১৫ সালের নির্বাচনে চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যান আবদুর রউফ। দুইবছর আগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।