নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
বিশ্বকাপের ফেবারিটের তালিকায় এবার ভারতেরই থাকার কথা। করোনাভাইরাসের জন্য ভেন্যু বদলে তা ভারত থেকে সংযুক্ত আমিরাতে নেওয়া হলেও সে বিবেচনায় কোনো পরিবর্তন আসছে না। বিশ্বকাপের আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সব ভেন্যুতে আইপিএল হচ্ছে। সে সুবাদে ভারতের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের সবারই উইকেটের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কাজটা সারা।
অবশ্য আইপিএলের বিভিন্ন দলে খেলার সুবাদে এ দিক থেকে খুব একটা পিছিয়ে নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে এ তিন দলকেই ফেবারিট বলছেন জস বাটলার। ইংলিশ উইকেটকিপার অবশ্য উইকেট বা কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কারণেই এদের এগিয়ে রাখছেন এমন নয়। তার চোখে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ছোট সংস্করণে সেরা তিন স্কোয়াড এ তিন দলের বলেই ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এদের সম্ভাবনা দেখছেন বাটলার।
২০১০ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড। পরের তিনটি বিশ্বকাপে অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। ২০১৬ বিশ্বকাপে তো একদম হাতের ফাঁক গলে বেরিয়ে গেছে বিশ্বকাপ। শেষ ওভারে ১৯ রানের কঠিন লক্ষ্য ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে। বিশ্বকাপ জেতার পথে তখন এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু কার্লোস ব্রাথওয়েটের অবিশ্বাস্য চারটি ছক্কার সুবাদে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতে নেয় উইন্ডিজ।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম মেট্রোর সঙ্গে কথোপকথনে বাটলার অবশ্য ফেবারিট হিসেবে নিজেদের নামই আগে বলেছেন, ‘আমার ধারণা নিশ্চিতভাবেই আমরা ফেবারিটদের একটি। আমাদের দুর্দান্ত এক দল আছে। বেন স্টোকস, জফরা আর্চারের মতো দুজন সুপারস্টারের অভাববোধ করব। কিন্তু খেলোয়াড় তালিকা দেখুন, এখানে সত্যিকারের ম্যাচ জেতানো কিছু খেলোয়াড় আছে এবং যা রোমাঞ্চকর। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও এবার জিততে পারে ইংল্যান্ড।
৩১ বছর বয়সী এর পর বাকি দুই ফেবারিটের নাম নিয়েছেন, ‘বিশ্বে আরও কিছু দারুণ দল আছে। বিশেষ করে ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথাই বলব, কারণ তারা আসলেই খুব শক্তিশালী। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খুবই শক্তিশালী। ওদের ছক্কা মারার ক্ষমতা অনেক। দলে এমন খেলোয়াড় থাকাটা দারুণ। কিন্তু আমার মনে হয়, আমরা খুবই ভালো দল এবং আমরা নিজেদের ওপরই মনোযোগ দেব। আর আমাদের ক্ষমতায় যতটুকু সম্ভব ভালো ক্রিকেট খেলব। সেটা করতে পারলেই, অনেক দূর যেতে পারব।’
২০১৬ সালে হৃদয়ভাঙা সে হারের পর ইংল্যান্ড ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতে সে দুঃখ ভুলেছে। কিন্তু সে জয়ের দুই নায়কই চোট ও অবসাদের কারণে দলে নেই এবার। আর্চার ও স্টোকসকে ছাড়াও নাকি এবার আরও শক্তিশালী দল নিয়ে বিশ্বকাপে যাচ্ছে ইংল্যান্ড, ‘চার বছর আগের বিশ্বকাপে যদি ফিরে তাকাই, এবার আমরা আরও অভিজ্ঞতা যোগ করেছি। খেলোয়াড়দের বয়স দেখুন, সবার অনেক অভিজ্ঞতা, সেটা আইপিএলে হোক, বিগব্যাশে হোক কিংবা ইংল্যান্ডের হয়ে ম্যাচ খেলে হোক। আমরা অভিজ্ঞ একটা দল হিসেবে যাচ্ছি। যে দল মাঠ ও মাঠের বাইরে এমন চাপ সামাল দিতে পারে এবং এটাই আমাকে আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।