মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্যানডোরা পেপারস ঘিরে সারাবিশ্বে তোলপাড় চলছে। পানামা পেপারসের পর গোপন ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের তথ্য ফাঁস হওয়ার এটিই সম্ভবত বড় ঘটনা। এবার হংকংয়ের সাবেক দুই নেতা চি লিয়াং ও তুং চি-হাওয়ার দুর্নীতির খবর প্রকাশ্যে এলো। খবর আল-জাজিরার। অভিযোগ পাওয়া গেছে, চি লিয়াং, চীনা অঞ্চলের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় একটি জাপানি কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করার পর তার তথ্য প্রকাশ্যে আনেননি বা ঘোষণা করেননি। অন্যদিকে, ধনকুবের তুং চি-হাওয়া গোপনে অফশোর কোম্পানির মালিক হয়েছেন, অবসর নেওয়ার পর। ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত হংকংয়ের নেতা হিসাবে সক্রিয় ছিলেন চি লিয়াং। অপরদিকে, ধনকুবের তুং চি-হাওয়া ১৯৯৭ সালে চীনের কাছে হংকং হস্তান্তরের সময় শহরের প্রথম প্রধান নির্বাহী ছিলেন। ২০০৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তারা দুজনই এখন চীন সরকারের একটি উপদেষ্টা কমিটির সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং হংকংয়ের বর্তমান প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের মেয়াদ শেষ হওয়ায় চি লিয়াং রাজনীতিতে ফিরতে পারেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বের ৩৫ রাষ্ট্রনেতা, তিন শতাধিক সরকারি কর্মকর্তা, সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা, শতাধিক ধনকুবেরের গোপন সম্পদ ও লেনদেনের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে ‘প্যানডোরা পেপারস’ গত রোববার (৪ অক্টোবর)। বিবিসি, গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের যৌথ অনুসন্ধান ‘বহু বাক্স খুলে দিচ্ছে’ বলে ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টস (আইসিআইজে) প্রতিবেদনের নাম দিয়েছে ‘প্যানডোরা পেপারস’। যৌথ অনুসন্ধানে সংবাদমাধ্যমগুলো প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ নথিপত্র হাতে পেয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা রক্ষার কারণে অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে সম্পত্তি কেনা উচ্চপর্যায়ের মানুষদের একটি সাধারণ প্রবণতা। পানামা পেপারস বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের অর্থ পাচারের তথ্য ফাঁস করেছিল। মূলত কর এড়িয়ে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়া, সেই অর্থ পাচার করা কিংবা অবৈধ আয়ের টাকায় ক্ষমতার মালিক হওয়ার ঘটনায় বেরিয়ে এসেছিল দেড় শতাধিক রাজনীতিবিদের আসল চেহারা। আল-জাজিরা, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।