Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বের ধর্মীয় নেতাদের সম্মিলিত আহ্বান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

পরিবেশ সুরক্ষায় বিশ্বনেতাদের জরুরিভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সারাবিশ্বের বিভিন্ন ধর্মীয় নেতারা সম্মিলিত আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার ক্যাথলিক খ্রিস্ট ধর্মের প্রধান ধর্মগুরু পোপের আবাসস্থল ভ্যাটিকানে এক বৈঠকের পর এই আহ্বান জানান তারা। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে পরিবেশ বিষয়ক জাতিসংঘের শীর্ষ সম্মেলন ‘সিওপি২৬’ অনুষ্ঠানের আগে সারাবিশ্বের ধর্মীয় নেতারা এই আহ্বান জানান। এর আগে সোমবার ‘বিশ্বাস ও বিজ্ঞান : সিওপি২৬ এর প্রতি আহ্বান’ শিরোনামে সম্মেলনে পোপ ফ্রান্সিসের আহ্বানে সুন্নি ও শিয়া মুসলিম, ক্যাথলিক, অর্থোডক্স ও অন্য খ্রিস্ট সম্প্রদায়, ইহুদি, হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, তাও. জৈনসহ বিভিন্ন ধর্মের ৪০ ধর্মীয় নেতা ভ্যাটিকানে আসেন। সম্মেলন থেকে সারাবিশ্বের ধর্মীয় নেতাদের আহ্বানে বলা হয়, ‘উত্তরাধিকার সূত্রে আমরা একটি বাগান পেয়েছি, আমাদের উচিত হবে না আমাদের সন্তানদের জন্য মরুভূমি রেখে যাওয়া।’ একইসাথে তারা আহ্বান জানান, পৃথিবীর তাপমাত্রা ১.৫ সেলসিয়াস (২.৭ ফারেনহাইট) বৃদ্ধি পর্যন্ত বেঁধে রাখতে বিশ্বনেতারা যেনো যথাযথ ব্যবস্থা নেন। একইসাথে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ানো গ্রিনহাউজ নিঃসরণকারী ধনী দেশগুলো যাতে ঝুঁকিগ্রস্ত দেশগুলোকে ‘প্রয়োজনীয় অর্থ সহায়তা’ করে, তার আহ্বান জানানো হয়। সম্মেলনে পোপ ফ্রান্সিসের বক্তব্য দেয়ার কথা থাকলেও তিনি কোনো বক্তব্য না দিয়ে সংক্ষিপ্তভাবে সবাইকে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আসার জন্য ধন্যবাদ জানান। সম্মেলনে অংশ নেয়া মিসরের আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড শেখ আহমদ আল-তাইয়েব বলেন, ‘ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমি সকল তরুণদের আহ্বান জানাচ্ছি, পরিবেশের ক্ষতি বা জলবায়ু সংকট তৈরিকারী যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তারা যেনো লড়াই করতে প্রস্তুত থাকে।’ অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা শিখ নেতা রাজওয়ান্ত সিং বলেন, ‘পানি হলো বাবা, বাতাস হলো শিক্ষক এবং পৃথিবী আমাদের সবার মা। আমরা যদি আমাদের মা, বাবা ও শিক্ষককে অসম্মান করতে পারি না, তাহলে কেন আমাদের স্রষ্টার এই উপহারকে অসম্মান করবো?’ রুশ অর্থোডক্স গির্জার প্যাট্রিয়ার্ক হিলারিওন বলেন, ‘এটি স্মরণ করা হবে যে বর্তমান পরিবেশগত পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া অন্য কারণগুলোর অন্যের ওপর বোঝা হয়ে কারো কারো লাভের ইচ্ছা এবং অন্যায়ভাবে সম্পদ সংগ্রহের ইচ্ছা দায়ী ছিলো।’ আল-জাজিরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ