পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষকের মানোন্নয়ন ছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি ও বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদ। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংগঠন দুটি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেজন্য প্রয়োজন প্রগতিশীল, মেধাবী ও সৃজনশীল ব্যক্তিদের শিক্ষকতায় আকৃষ্ট করা। শিক্ষককে জ্ঞানসমৃদ্ধ, কুশলী ও দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষকতা জীবনের প্রথম থেকেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কর্মের প্রয়োজনীয় সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। শিক্ষকের নায্য অধিকার ও মর্যাদার দেশে চরমভাবে উপেক্ষিত। শিক্ষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বলেন, গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার প্রায় ৯৫ ভাগই পরিচালনা করে বেসরকারি শিক্ষক, আর একটি স্বাধীন দেশের জন্য এ বেসরকারি শিক্ষকতার অবস্থা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
লিখিত বক্তব্যে অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান বলেন, শিক্ষকতা পেশা সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দাবী রাখলেও অবহেলা ও অবজ্ঞতার ফলে শিক্ষকতা পেশা ক্রমেই মেধাবীদের আকর্ষণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। সে কারণে পৃথক ‘শিক্ষা সার্ভিস কমিশন’ গঠন করে অভিন্ন নিয়োগ নীতিমালায় মেধাসম্পন্ন দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া যেমন প্রয়োজন আবার তেমনিই সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষকদের বৈষম্য দূর করে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে বেসরকারি শিক্ষকদের সরকারি শিক্ষকদের অনুরূপ নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে প্রাইভেট টিউশনি, কোচিং বা অন্য কোন বাড়তি কাজের দ্বারা অর্থ উপার্জন করতে গিয়ে নিজ দায়িত্ব পালনে বাধার সম্মুখীন হতে না হয়। এখনও আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বেসরকারি শিক্ষকদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা থাকলেও পদোন্নতির তেমন কোন সুযোগ নেই। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটিতে রাজনীতিকদের অন্তভ‚র্ক্ত করার ফলে এবং পরিচালনা কমিটি গঠনে অসঙ্গতিপূর্ণ নীতিমালা থাকার কারণে বেসরকারি শিক্ষকদের চাকরির কোন নিরাপত্তা নেই। বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় নিয়োগ বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়। যেহেতু সরকার বর্তমানে বেসরকারি শিক্ষকদের প্রারম্ভিক বেতনের ১০০ ভাগ ও অন্যান্য ভাতার আংশিক প্রদান করছে, তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য গভর্নিং-বডি/ম্যানেজিং কমিটির কোন প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যক্ষ মো. ইসহাক হোসেন বলেন, যোগ্য ও আদর্শ শিক্ষকরা এক চরম হতাশার মধ্যে দিন যাপন করছে। ফলে সৃজনশীল চিন্তার উন্মেষ ঘটার কোন অবকাশ তো নেই, বরং তাঁদের সাধারণ দায়িত্ব পালন করার স্পৃহাও দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
শিক্ষকদের বৈষম্য নিরসন, শিক্ষকদের দুরবস্থা দূর করতে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ হারুনুর রশিদ, কলেজ শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত মহা সম্পাদক ড. একেএম আব্দুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন- অধ্যক্ষ রহিমা খন্দকার, অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ ইউসুফ, অধ্যাপক ইলিম মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, অধ্যাপক জহিরউদ্দিন আজম, অধ্যাপক আনোয়ার মন্ডল, অধ্যক্ষ এম.এ. মোনায়েম, অধ্যাপক হোসনে জাহান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।