পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন এটা প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু এই ব্যাপক ব্যবধানে সব রেকর্ডকে ভেঙে তিনি জিতবেন এটা অনেকেই ভাবতে পারেননি। কিন্তু সেটাই ঘটেছে। তার জয়ের ব্যবধান ৫৮ হাজার ৮৩২। ৮৪ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। সেখানে বিজেপি এবং সিপিআইএম প্রার্থীরা ধারে কাছে আসতে পারেননি।
কিন্তু এই জয়ের নেপথ্যে বেশ কয়েকটি কারণ কাজ করল। যার প্রথম কারণটিই হল, বিজেপির মারাত্মক ভুল। প্রার্থী নির্বাচনেই এই ভুলটি হয়েছিল। বাঙালি মহিলার বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হয়েছিল অবাঙালি প্রার্থীকে। যা মানুষ সমর্থন করেনি। তার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যে স্ট্যাচার তার সঙ্গে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল কার্যত বেমানান। বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথা প্রকাশ্যে স্বীকারও করেছিলেন। যা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়।
দ্বিতীয় কারণ হিসাবে সেই একই ভুল করতে দেখা যায় বিজেপিকে। সেখানে নামিয়ে দেয়া হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। হরদীপ সিং পুরী থেকে স্মৃতি ইরানি—এখানে এসে প্রচার করেছিলেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নানা মন্তব্য করেছিলেন। যা এখানের মানুষ মেনে নেয়নি। সেখানে বিজেপি প্রার্থীকে দেখা গিয়েছিল পুলিশের উপর চোখ রাঙাতে। সেটাও মানুষ ভালভাবে নেননি। যা ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলেছে।
ভবানীপুর অঞ্চলটি নানা ভাষা, ধর্ম, বর্ণ, জাতিকে নিয়ে গঠিত। এখানে ঔদ্ধত্য মানুষ পছন্দ করেন না। বরং মিলেমিশে সহাবস্থান করতেই অভ্যস্ত। সেখানে বাঙালি–অবাঙালি বিভেদ করা আরও বড় ভুল হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিজেপির। যার পুরো ফায়দাটি পেয়েছেন ঘরের মেয়ে মমতা। তিনি ষোল আনা মসজিদ থেকে মন্দির, গুরুদ্ধার সর্বত্র পৌঁছেছিলেন। সর্বধর্ম সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন। আর বিজেপির আইটি সেলের নেতা অমিত মালব্যকে বারবার হিন্দু–মুসলিম বিভেদের টুইট করতে দেখা গিয়েছিল। যা ছিল কফিনের শেষ পেরেক। আর সেটাই হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ব্যবধানের রেকর্ড যেমন ভাঙলেন, তেমনই ভাঙলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের রেকর্ড। আবার গড়লেন বিরাট অঙ্কের ভোটের মাইলস্টোন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৮৯ ভোট। খেলা শেষে ফলাফল ৩–০ দেখতে পাচ্ছে মানুষ। এখন আর তাকে কেউ বলতে পারবেন না নন এমএলএ চিফ মিনিস্টার। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।