রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদের ওপর সশস্ত্র হামলা বাঁচাতে এগিয়ে গেলে ছুরিকাঘাতে আহত ৫। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাদের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় গতকাল রোববার দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির জন্য রেফার করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে চারজনকে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হলেন, মাসুদ রানা (৪০), আব্দুল বারীক (৪২), মফিজ উদ্দীন (৩৮) এবং অনিক (২৭)। এ ঘটনায় চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে বাগমারা থানায় অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে একটি শালিসি বৈঠক চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে রক্ষিতপাড়া গ্রামের আছিরের ছেলে আল-আমিন বিশ্বাস হাতে ধারালো ছুরি নিয়ে পরিষদে উপস্থিত হন। ওই সময় বাহার আলী নামের এক ইউপি সদস্যের সাথে কথা কাটাকাটি হয় আল-আমিন বিশ্বাসের। পরে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতে ছুরি নিয়ে হামলা চালায়। পরে চেয়ারম্যানকে আল-আমিন বিশ্বাসের হাত থেকে রক্ষা করতে গিয়ে ছুতিকাঘাতের শিকার হয় ৫ জন সাধারণ লোকজনসহ আ.লীগের নেতাকর্মীরা। পরে স্থানীয় লোকজন হামলাকারী আল-আমিন বিশ্বাসকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এ সময় উত্তেজিত জনতার হাতে আহত হয় আল-আমিন বিশ্বাস। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলাকারী আল-আমিন বিশ্বাস এলাকার নিষিদ্ধঘোষিত চরমপন্থি সংগঠনের সদস্য। দীর্ঘদিন তিনি এলাকায় হত্যাসহ নানান অপকর্মের সাথে জড়িত ছিল। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আবারও একটা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর পায়তারা চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শান্ত ইউনিয়নকে অশান্ত করার অপচেষ্টায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে পুনরায় অপরাধ মূলক কার্যক্রমে নিজেকে না জড়ানোর শপথ নিয়ে পাবনার একটি অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট আত্মসমর্পন করেন।
নির্বাচন ঘিরে আবারও উতপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টির ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন। আউচপাড়ার ইউপি সদস্য বাহার আলী জানান, আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই ছুরি নিয়ে আল-আমিন হামলা চালায়। আমাদের ধারণা কেউ না থাকলে ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি, চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদকে হত্যা করতো। শালিসি বৈঠকে লোকজনসহ নেতাকর্মী থাকায় প্রাণে বেঁচে গেছেন চেয়ারম্যান।
এ ব্যাপারে আউচপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সরদার জান মোহাম্মদ বলেন, আউচপাড়া ইউনিয়ন বর্তমানে শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। হামলা মামলা নেই বললেই চলে। আমি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে লোকজনের সাথে উন্নয়ন বিষয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা করে আসছি। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হয়নি। গত ২০১৬ সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগের দিনে সর্বহারা ক্যাডার বাহিনীর তান্ডবে বেশ কয়েকজন নিরীহ লোকজনকে জীবন দিতে হয়েছিল। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে একটি পক্ষ আবারও ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাগমারা থানার ওসি মোস্তাক আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি শোনার পর দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।