মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রদর্শনীর জন্য পুরোনো দুটি চিত্রকর্ম নতুন করে আঁকতে এক শিল্পীর সঙ্গে চুক্তি করেছিল ডেনমার্কের একটি জাদুঘর। সে অনুযায়ী ওই শিল্পীকে অগ্রিম অর্থও দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি চিত্রকর্ম বানাননি। বরং জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে দিয়েছেন সাদা ক্যানভাস। এ ঘটনা বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। ওই শিল্পীর কাছে অর্থ ফেরত চেয়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ডেনিশ ওই শিল্পীর নাম জেনস হ্যানিং। ডেনমার্কের কুন্সটেন জাদুঘরের হয়ে কাজ করতেন তিনি। কাগুজে নোট ব্যবহার করে বানানো নিজের পুরোনো দুটি চিত্রকর্ম নতুন করে সৃষ্টির জন্য জাদুঘরটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন জেনস। চুক্তি অনুযায়ী শিল্পীকে ৫ লাখ ৩৪ হাজার ক্রোনার বা ৮৩ হাজার মার্কিন ডলার পরিশোধ করে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। তবে শিল্পকর্ম জমা দেওয়ার পর চোখ কপালে ওঠে সবার। জেনস পুরো ফাঁকা দুটি ক্যানভাস জমা দিয়েছেন। তিনি সেই সাদা ক্যানভাসের নাম দিয়েছেন ‘অর্থ নিয়ে দৌড় দাও’। এ ঘটনায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। জাদুঘরটির পরিচালক ল্যাসে অ্যান্ডারসন বিবিসিকে বলেন, ‘তিনি (শিল্পী) আমাদের হতবাক করেছেন। আমি এ ঘটনায় হেসেছি। কারণ, এটা আসলেই মজার একটি ঘটনা।’ তবে অ্যান্ডারসন স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছেন, প্রদর্শনী শেষ হলে শিল্পী জেনসকে আগাম পরিশোধিত অর্থ ফেরত দিতে হবে। কেননা, এটা জাদুঘরের অর্থ।
পকেটে অর্থ পুরেও ফাঁকা ক্যানভাস কেন জমা দিলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ৫৬ বছর বয়সী এই শিল্পী বলেন, ‘আমি এই শিল্পকর্ম সৃষ্টির জন্যই তাদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছি।’ তিনি আরও জানান, ওই জাদুঘরে ভীষণ বাজে পরিবেশে কাজ করতে হয়েছে। ঠিকঠাক প্রাপ্য অর্থ দেওয়া হতো না। এমনকি নতুন করে চিত্রকর্ম বানাতে তার ২৫ হাজার ক্রোনারের বেশি খরচ হয়ে গেছে। তাই আগাম পরিশোধিত অর্থ তিনি ফেরত দিতে চান না। তবে জেনসের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ। সূত্র : বিবিসি নিউজ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।