বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইলিশ আহরণের নিষেধাজ্ঞা সামনে রেখে বরগুনার হাট-বাজারে বেড়েছে রূপালী ইলিশের দাম। শেষ মুহূর্তে ইলিশ কেনাকাটায় মাছ বাজারে বেড়েছে সাধারণ মানুষের ভিড়।
আগামীকাল থেকে ২২ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ইলিশ ধরা, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিতরণ মজুদ নিষিদ্ধ থাকবে। এ কারণেই উপক‚লীয় জেলা বরগুনার উপজেলায় বেড়েছে ইলিশের দাম। বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেড় কেজি ওজনের বড় সাইজের ইলিশের কেজি প্রতি ১৭শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই সাইজের ইলিশ আগে বিক্রি হতো ১২শ’ টাকা দরে। তবে ছোট ইলিশের দাম সব সময় ওঠানামা করে। ইংলিশসহ অন্যান্য মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
মাছ বিক্রেতা বলেন, সাগরে ২২ দিনের অবরোধ দেয়ার কারণে বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ বাজারে মাছ কেনার জন্য ভিড় করছেন ক্রেতারা। কমিশন এজেন্ট ইদ্রিস ট্রেডার্সের সত্ত¡াধিকারী আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিগত মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময় বাজারে মাছের সঙ্কট থাকায় এ বছর তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী মাছ কিনে মজুদ করছে। মাছের চাহিদা বেশি থাকার কারণে দামটা আগের তুলনায় একটু বেশি। ক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহের মাছের দামের তুলনায় এখন ইলিশ মাছসহ বেশ কিছু মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
এতে অতিরিক্ত খরচ বাড়ছে। বঙ্গোপসাগর ও নদীতে ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধিতে প্রতি বছর আশ্বিনের পূর্ণিমার আগে ও পরে মোট ২২ দিন দেশের নদী ও সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়। এরপরও মার্চ-এপ্রিলে পাঁচটি, নভেম্বর-ডিসেম্বরে একটি অভয়াশ্রমে দুই মাস করে এবং গভীর সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব জানান, মা ইলিশের প্রজনন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা সচেতনমূলক মাইকিং, ব্যানার, ফেস্টুন লাগানোর পর থেকেই সাধারণ মানুষ মাছ কিনতে শুরু করেছে নিষেধাজ্ঞার আগে। এতে করে মাছের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ইলিশের দাম ক্রেতার হাতের নাগালে রয়েছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
এদিকে, মা ইলিশের প্রজনন নিরাপদ করতে আশ্বিনের অমাবশ্যা ও পূর্ণিমা মাঝে রেখে গত কয়েক বছরে আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় মৎস্য অধিদফতর। আশি^নের অমাবশ্যায় পানি বাড়লে মা ইলিশ ডিম ছাড়ার জন্য সাগর ছেড়ে মিঠাপানির দিকে ছুটতে থাকে। কিন্তু প্রায় আড়াই মাস আগে ইলিশ মৌসুম শুরু হলেও নদ-নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশ পাচ্ছেন না সাগরে। এখন শেষের পথে ইলিশ মৌসুম। গত বছরের তুলনায় এবার অর্ধেক পরিমাণও ইলিশ পায়নি জেলেরা। ফলে ইলিশ নিয়ে এখন উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে জেলে পরিবারে।
জেলে কামরুল হাসান জানান, জুলাইয়ের শুরু থেকেই দফায় দফায় নিম্নচাপ ও লঘুচাপে সাগর উত্তাল থাকায় ইলিশ ধরতে তেমন সুবিধা হয়নি। আর যেটুকু পাওয়া গেছে তা আবার জাটকা ইলিশ।
পটুয়াখালীর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদ উল্লাহ বলেন, গত নভেম্বর থেকে মে মাস পর্যন্ত ৭ মাস একবারে বৃষ্টিপাত হয়নি। এ জন্য ইলিশ মাছ পড়ার প্রভাবটা কম। তাছাড়া বৃষ্টি হলে মাছের পেটে ডিম আসে। মোহনা সংলগ্ন রাঙ্গাবালীর সোনারচর ও ভোলার ডালীর চর পলি পড়ে ভরাট হওয়ার কারণে মাছের সংখ্যা কমে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।