Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ঈশ্বরগঞ্জে যুবকের হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) উপজেলা সংবাদদাতা

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে সাইফুল ইসলাম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। হাত ভাঙা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন নির্যাতনের শিকার ওই যুবক। উপজেলা জাটিয়া ইউনিয়নের মালিয়াটি গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে পান বরজের শ্রমিক সাইফুল ইসলামের সাথে গত বৃহস্পতিবার স্ত্রী অজিফা আক্তারের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। মেয়েকে মারধর করার খবর পেয়ে অজিফার বাবা আবদুর রাজ্জাক ওই দিন সন্ধ্যায় মেয়েকে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টুর কাছে বিচার প্রার্থী হন। ওই অবস্থায় ইউপি চেয়ারম্যান ঝন্টু সাইফুলকে মালিয়াটি মোড়ের সুলতান খাঁর দোকান ঘরে ডেকে নিয়ে চৌকিদারের বেত দিয়ে বেত্রাঘাত করে। চেয়ারম্যানের বেধম বেত্রাঘাতে সাইফুলের বাম হাতটি ভেঙে যায়। পরে গুরুতর অবস্থায় সাইফুলকে উদ্ধার করে গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, কমপ্লেক্সের পুরুষ ওয়ার্ডের বিছানায় হাতে প্লাস্টার ও পায়ে ব্যান্ডেজ নিয়ে শুয়ে রয়েছেন সাইফুল ইসলাম। সাইফুল জানায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে বাকবিত-ার এক পর্যায়ে তাকে চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়। এতে স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে জানায়। পরে চেয়ারম্যান তাকে ডেকে নিয়ে বেধম পিটিয়ে তার একটি হাত ভেঙে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. কাজী সোলাইমান বলেন, স্ত্রীকে মারধরের সময় শাশুড়ির শরীরে একটু আঘাত লাগে। বিষয়টি তাকে জানানো হলে তিনি বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। পরে খবর পেয়েছেন, তার বিচার না মেনে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে বিচার প্রার্থী হন সাইফুলের স্ত্রী ও শাশুড়ি। জানতে পেরেছেন, চেয়ারম্যান বিচার করে সাইফুলের হাত ভেঙে দিয়েছেন। জাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শামছুল হক ঝন্টু বলেন, স্ত্রী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে মারধর করায় তার কাছে বিচার প্রার্থী হয়। ওই অবস্থায় সাইফুলকে ডেকে চড়-থাপ্পড় দেয়া হয়। পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বদরুল আলম খান বলেন, বিষয়টি কেউ জানায়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঈশ্বরগঞ্জে যুবকের হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ