পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুযোগ-সুবিধার অভাবে এয়ারলাইনসগুলো শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ হারাচ্ছে
বহির্বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়ছে। রফতানি হচ্ছে বিভিন্ন পণ্য। নানা কারণে সমুদ্রপথে এসব পণ্য সময়মতো পরিবহন করা সম্ভব হচ্ছে না। আর তাই ক্রেতার কাছে দ্রুত পণ্য পাঠাতে রফতানিকারকরা ঝুঁকছেন আকাশপথে। এ পথে পণ্য পরিবহনের চাহিদা বাড়ছে দিন দিন। রফতানি বাণিজ্যে আকাশপথ ব্যবহারের বড় সুযোগ থাকলেও তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা, বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত জায়গা সঙ্কটের পাশাপাশি দক্ষ জনবলের অভাব, স্ক্যানিং মেশিন ও ওজন মাপার যন্ত্র বিকল থাকায় প্রতিদিনই সঙ্কট বাড়ছে, তৈরি হচ্ছে কার্গোজটের। ফলে রফতানিকারক ও এয়ারলাইনসগুলো পণ্য রফতানিতে বাংলাদেশের বিমানবন্দর ব্যবহারের আগ্রহ হারিয়ে বিকল্প গন্তব্যে ছুটছে। বর্তমানে সমুদ্রপথে পণ্য পাঠাতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার সঙ্কটের পাশাপাশি জাহাজ ভাড়াও বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ক্রেতার কাছে দ্রæত পণ্য পাঠাতে আকাশপথে পণ্য পরিবহনে ঝুঁকছে রফতানিকারকরা। কিন্তু চাহিদার বিপরীতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে পর্যাপ্ত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ফলে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোও পণ্য পরিবহনে পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসগুলো একদিকে যেমন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে, অন্যদিকে অনেক ব্যবসায়ীও সড়কপথে কলকাতায় পণ্য নিয়ে সেখান থেকে গন্তব্যে পণ্য পাঠাচ্ছে। রফতানিকারক এবং বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। অবশ্য বিড়ম্বনার এখানেই শেষ নয়; হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে আকাশপথে দৈনিক গড়ে এক হাজার টন পণ্য আমদানি-রফতানি হয়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, বিপুল অর্থ ব্যয়ে আনা বিভিন্ন পণ্য খালাস ও রফতানির জন্য বিমানে তোলা পর্যন্ত অন্তত ১৫ ধাপে ঘুষ দিতে হচ্ছে। এতে প্রতি টন পণ্যে অতিরিক্ত খরচ গুনতে হয় ৩ হাজার টাকা। অন্যদিকে প্রায়ই খোলা আকাশের নিচে রাখতে হয় পণ্য। সেখানে নজরদারি ও তত্ত¡াবধানের ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও হতাশাজনক। এতে পণ্য চুরি ও হারানোর ঘটনা ঘটছে নিয়মিত। সুষ্ঠুভাবে না রাখায় অনেক মূল্যবান মালামাল ও দামি ওষুধ যেমন হারিয়ে যাচ্ছে তেমনি খোলা আকাশের নিচে উচ্চ তাপমাত্রায় রানওয়েতে পড়ে থেকেও নষ্ট হচ্ছে। আবার পরিবহন খরচও তুলনামূলক বেশি। টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, সিকিউরিটি স্ক্যানিং ও অন্যান্য খরচসহ আমাদের আকাশপথে কেজিপ্রতি পণ্য পরিহনে খরচ দাঁড়ায় ১৮-২০ সেন্টের মতো, অথচ কলকাতায় তা ৮-১০ সেন্ট মাত্র। সব মিলিয়ে সম্ভাবনা অনুযায়ী আকাশপথে পণ্য পরিবহন বাড়ানো যাচ্ছে না। রফতানিকারকরা ছুটছেন বিকল্প গন্তব্যে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশের প্রধানতম বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে মাত্র দু’টি ইডিএস (এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম) স্ক্যানিং মেশিন রয়েছে। তাও বিকল থাকে। পাশাপাশি কার্গো ভিলেজে স্থান সঙ্কটও রয়েছে। ফলে প্রায়ই কার্গো ভিলেজে পণ্যজট সৃষ্টি হচ্ছে। রয়েছে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে দুর্বলতাও। তাতে সময়মতো উড়োজাহাজে কার্গো লোডিং করা সম্ভব হয় না। এমন অবস্থায় এয়ারলাইনসগুলোকে ১০ থেকে ২০ শতাংশ জায়গা খালি রেখেই উড্ডয়ন করতে হচ্ছে।
তবে গত বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে ঝটিকা পরিদর্শন করে অব্যবস্থাপনা, অদক্ষতা ও কার্গোজটে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, আমরা মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করব। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। আমরা বলছি উন্নয়নশীল দেশ। অথচ আমাদের বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। এটা লজ্জার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের অর্থনীতি একটা রূপান্তরশীল প্রক্রিয়ায় রয়েছে। অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ছে। বাণিজ্য বাড়ছে। স্বভাবত রফতানি হচ্ছে বেশি। দেশীয় শিল্পের প্রয়োজনে অনেক উপকরণ বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে। আবশ্যিক ভোগ্যপণ্যের আমদানিও করতে হচ্ছে। তাই পণ্য আনা-নেয়ায় গতিশীলতা আরো বাড়ানো দরকার। সেক্ষেত্রে একটি গতিশীল ও সাশ্রয়ী মাধ্যমে হতে পারে আকাশপথে পণ্য পরিবহন বাড়ানো। দ্রæততম সময়ের মধ্যে আমদানি-রফতানি করা সম্ভব হলে চূড়ান্তভাবে অর্থনীতিই লাভবান হবে, সুফল পাবে রাষ্ট্র। সুতরাং আকাশপথে পণ্য পরিবহন সক্ষমতা বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিমানবন্দরগুলোকে ঢেলে সাজাতে হবে। অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধায় সজ্জিত করতে হবে।
সূত্র মতে, অনেক দেশই সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনে আকাশপথকে সমান্তরাল গুরুত্ব দিয়েছে। বাণিজ্য কার্যক্রম বেগবান করতে আকাশপথে বাড়িয়েছে কার্গো পরিবহন। বর্তমানে কার্গো পরিবহনে ২০টি ব্যস্ততম বিমানবন্দরের মধ্যে রয়েছে হংকং, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাপান, কাতার, সিঙ্গাপুর, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস প্রভৃতি দেশের সুনির্দিষ্ট কিছু বিমানবন্দর। ওই সব বিমানবন্দরে কার্গো পরিবহনের জন্য উন্নত ও পর্যাপ্ত অবকাঠামোর পাশাপাশি অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। ফলে সেখানে পণ্য মজুদ, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ে তেমন ঝামেলা নেই। সার্বিক খরচও সেখানে সহনীয়। এজন্য সেসব বিমানবন্দরে কার্গো পরিবহন দিন দিন বাড়ছে। বাণিজ্য-সংশ্লিষ্টরা সহজেই সেগুলো বেছে নিচ্ছেন।
সূত্র জানায়, শুধু রফতানিকারক নয়, বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোও ঢাকা বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনায় আগ্রহ হারাচ্ছে। সউদী অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইনস, এমিরেটস এয়ারলাইনস, ইতিহাদসহ আরো কয়েকটি বিদেশি এয়ারলাইনস ঢাকায় নিয়মিত কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা করত। এখন তারা এসব ফ্লাইট বন্ধ করে দিয়েছে। এসব এয়ারলাইনস বাংলাদেশ থেকে কেবল যাত্রীবাহী ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এসব ফ্লাইটের কার্গো হোল্ডে যেটুকু পণ্য পরিবহন সম্ভব, ততটুকুই কেবল নিচ্ছে। তারা ক্রমেই নিবেদিত কার্গো ফ্লাইট পরিচালনা থেকে সরে আসছে। এর কারণ সার্বিক অব্যবস্থাপনা, সক্ষমতা ও অন্য লজিস্টিক সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি। একইভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাজার ধরার সুযোগ থাকলেও দেশীয় এয়ারলাইনসগুলোও এটি কাজে লাগাতে পারছে না। করোনা সংক্রমণের ভয়ে যাত্রী পরিবহনে অনেক বিমানবন্দরই কম মনোযোগ দিচ্ছে। দৃষ্টি দিচ্ছে কার্গো পরিবহনে। অথচ হযরত শাহজালাল বিমানবন্দর করোনার দীর্ঘ সময়ে এ বিষয়ে কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
সূত্র মতে, বাংলাদেশে তৈরী পোশাকের অন্যতম বৃহৎ আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে ইন্ডিটেক্স, এইচএন্ডএম। এ ক্রেতারাসহ অনেক ক্রেতা বাংলাদেশের বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের বিড়ম্বনা নিয়ে অভিযোগ করেছে। এ প্রেক্ষিতে গত বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ ঝটিকা পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। সরেজমিন সেখানকার অব্যবস্থাপনা দেখে তিনি হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কার্গো ভিলেজের স্ক্যানিং মেশিন পরিদর্শনে প্রবেশের সময় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসানকে উদ্দেশ করে সালমান এফ রহমান বলেন, আপনাদের দুবাই ঘুরে আসা উচিত। সেখানকার ব্যবস্থাপনা ও সেবার মান দেখা দরকার। এই পরিবেশ দেখে আমারই তো প্রবেশ করতে ইচ্ছা হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা মধ্য আয়ের দেশে প্রবেশ করব। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি। আমরা বলছি উন্নয়নশীল দেশ। অথচ আমাদের বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। এটা লজ্জার।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা। তিনি বলেন, এখানে আসার কারণ হলো আমাদের ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে বিদেশি ক্রেতারা অভিযোগ করে আসছেন যে, ঢাকা বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে রফতানি পণ্য স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট হওয়ায় রফতানিতে সমস্যা হচ্ছে। বাণিজ্যমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক হলে বিমান কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দেয় যে, কিছুদিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। তারপরও দেখলাম সমাধান হচ্ছে না। এছাড়া বিদেশ থেকে বারবার অভিযোগ আসছিল। ভাবলাম আমি নিজে গিয়ে দেখি কী হচ্ছে। আসলে ঘটনাটা কী?
সরেজমিন পরির্দশনে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সালমান এফ রহমান বলেন, এসে দেখি, চারটা স্ক্যানিং মেশিন আছে। সবগুলো নষ্ট। যার কারণে এই সমস্যাটা হচ্ছে। এর মধ্যে এখনো দুটো মেশিন চালুই হয়নি। বিমান কর্তৃপক্ষ জানাল, মেশিনগুলো গত মার্চ মাসে স্থাপন করা হয়েছে। ৬ মাস হলো এখনো চালু করা হয়নি। বিমান কর্তৃপক্ষ বলল করোনার কারণে চালু করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, তাদের এই ব্যাখ্যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। করোনার মধ্যেও আমাদের দেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। তার মানে হলো এর মধ্যেও আমরা কাজ করেছি। অন্যরা যদি পারে, তাহলে বিমান কর্তৃপক্ষ কেন পারল না? অবশ্যই তাদের এটা গাফিলতি। ৬ মাস হলো একটা মেশিন বসে আছে। অথচ সেটা চালু করতে পারলাম না। এটাই দুঃখজনক। এখন বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছে, তারা আগামী এক মাসের মধ্যে সবগুলো মেশিন চালু করতে পারবে। এর মধ্যে দু’টি মেশিন এক সপ্তাহের মধ্যে চালু করা সম্ভব হবে।
সালমান এফ রহমান বলেন, এই সময় যেন কোনোভাবেই ভঙ্গ না হয়। এখন যা হয়েছে তা তো গেছে। এটা নিয়ে আমি খুবই হতাশ। কিন্তু আমাদের দেশের রফতানি খাত চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার চেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে বিদেশে আমাদের দেশের ইমেজ নষ্ট হচ্ছে। বেসরকারি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সালমান এফ রহমান আরো বলেন, চীনে বিদ্যুৎ সঙ্কটের কারণে অনেক বস্ত্রকল বন্ধ। সামনে তাদের নববর্ষ। আবার ভিয়েতনামে করোনার কারণে কারখানা বন্ধ। ফলে আমাদের কাছে অনেক ক্রয়াদেশ আসার সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার বড়দিন যত এগিয়ে আসবে, ততই কার্গোর ওপর চাপ বাড়বে। ইডিএস ঠিক না হলে চলমান ক্রয়াদেশের পণ্য পাঠানো সম্ভব হবে না। বাড়তি ব্যবসাও আমরা নিতে পারব না। তিনি জানান, ইডিএস নষ্ট থাকায় রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট হচ্ছে।
কার্গো ভিলেজের সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করার কথাও জানিয়েছেন সালমান এফ রহমান। তিনি বলেন, আমি সিরিয়াস মিটিং করব। কারণ রফতানি আমাদের অর্থনীতির প্রাণ। বিদেশি ক্রেতারা বলছেন, বিমানবন্দরে এত সময় লাগলে তারা কিভাবে বাড়তি ব্যবসা দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের ওপর ভরসা করবেন।
বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএএফএফএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দ মো. বখতিয়ার বলেন, রফতানি খাত সংশ্লিষ্টরা বৈশ্বিক বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অবস্থান আরো শক্তিশালী করার জন্য বিমানে রফতানি পণ্য সরবরাহে গতি আনার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বিমানবন্দরে আধুনিক সরঞ্জামের ব্যবহারসহ কার্গো ভিলেজের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। তিনি বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে বহির্বিশ্বে বাণিজ্য বাড়ছে। ক্রেতার চাহিদার কারণে রফতানি পণ্য দ্রæত সরবরাহ করতে আকাশপথে কার্গোর চাহিদা বাড়ছে। তবে আকাশপথে পণ্য পাঠানোর ক্ষেত্রে ঢাকায় যে খরচ হয় তা একটু বেশি। কলকাতায় এ খরচ তুলনামূলক কম। আবার কার্গো ভিলেজে স্ক্যানিং মেশিনের একটা সঙ্কট রয়েছে। ভিলেজের ভেতরে স্থান স্বল্পতাও রয়েছে। ফলে প্রায়ই পণ্যজট সৃষ্টি হচ্ছে। অর্থনীতির স্বার্থেই ওসব সমস্যার দ্রæত সমাধান করা জরুরি। সে জন্য সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।