সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিমকে আহ্বয়ক করে জেলা আওয়ামী লীগের ৮৭ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনুমোদনক্রমে এই আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত কমিটিতে যুগ্ম আহ্ববায়ক হিসেবে রয়েছেন অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন ও সহিদুল্লাহ খান সোহেল। কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, মোরশেদ আলম, বেগম ফরিদা খানম, এইচ এম ইব্রাহীম, মামুনুর রশীদ কিরণ ও আয়েশা আলী। আরো আছেন গোলাম মহিউদ্দিন লাতু, ডা. এবি এম জাফর উল্যাহ, আবদুর রহমান মঞ্জু, মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, মো.আলী ও মো. জাহাঙ্গীর আলম। তবে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে স্থান পায়নি বহুল আলোচিত সমালোচিত বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। দীর্ঘদিন থেকে কাদের মির্জা নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীর অপসারণ দাবি করে আসছে। কিন্তু সর্বশেষ সেই কাদের মির্জাকে রাখা হয়নি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে। ঘোষিত কমিটিতে এখন পর্যন্ত ৪টি নামের জায়গা এখনো খালি রাখা হয়েছে। এ কমিটি ঘোষণা কেন্দ্র করে দুটি গ্রুপের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে গতকাল দুপুর পৌনে ১টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটি নিয়ে ফেসবুক লাইভে কাদের মির্জা মন্তব্য করেন, এটা হচ্ছে কমিটি নয়, বানরের পিঠা ভাগ। নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন হয়নি এ কমিটির মাধ্যমে। এ কমিটি হচ্ছে অপরাজনীতির আরো একটা চমক। আমরা এ কমিটির পক্ষেও নেই বিরুদ্ধেও নেই। বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা আরো বলেন, আমি পৌরসভার মেয়র আমার সব কিছু করার ক্ষমতা আছে জনস্বার্থে। আজকে কি চলছে। কোম্পানীগঞ্জে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে? মেরুদন্ডহীন ওবায়দুল কাদেরের আজকে সিন্ধান্তহীনতার কারণে। সে আজকে শেষ করে দিচ্ছে কোম্পানীগঞ্জ। কাদের মির্জা বলেন, এখন আর রাজনীতির প্রতি মোহ নেই। আজকে ওবায়দুল কাদেরের মত নেতাদের নেতৃত্বে রাজনীতি করার আর কোন সুযোগ আছে বলে আমি মনে করিনা। তার পরেও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে আমি ভালোবাসি। আজকে শেখ হাসিনা দেশে বিদেশে সমাদৃত। এ অপশক্তির কারণে আজকে নেত্রীর সমস্ত অর্জন নষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে কত অপমান। পুলিশ আমার গায়ের ওপর হাত দিয়েছে, বিচার পায়নি। আমার ছেলেদেরকে নিয়ে মারধর করে আমার ছেলেদেরকে মুজাক্কিও হত্যা মামলায় দিচ্ছে। ওবায়দুল কাদের বলেছে আমি দেখছি, আজকে দুই মাস পেরেয়ি গেছে। এ মিথ্যাবাদী নেতা কোন কিছু করেনি।

মির্জা কাদের আরো বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি, শেখ হাসিনাকে ঘিরে রাজনীতি করি। আমি বক্তৃতা, আলোচনা, সেমিনারে আমি উনাদের পক্ষে কথা বলে আমার বাকী জীবনটা শেষ করব। দলে প্রতি আমার কোন ভক্তি নেই। ওবাদুল কাদের সাহেবদের মত নেতৃত্বে আমরা দল করার মত কোন পরিবেশ নেই। বার বার অপমান। আমার পরিবারের ইজ্জত নষ্ট করেছে, আমার ইজ্জত নষ্ট করেছে।