বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1719403753](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানি থেকে বিনিয়োগকারীরা গত দুই বছর ধরে লভ্যাংশ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ওই ওষুধ কোম্পানিতে অর্থ বিনিয়োগকারী মানিকগঞ্জের চিকিৎসক, চিকিৎসা সহকারী ও ব্যবসায়ীরা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে উপ-পরিচালক হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক রঞ্জিত কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, ‘ডাক্তার বিনিয়োগ স্কীমে’ চুক্তিপত্রের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের মতো মানিকগঞ্জের ৭০ থেকে ৭৫জন চিকিৎসক, চিকিৎসা সহকারী এবং ওষুধ ব্যবসায়ী ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংকের টাকা কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। শুরুতে ১৭ লভ্যাংশ হিসেবে প্রতি লাখে ১ হাজার ৬৬৭ টাকা হারে দেয়া হতো। কিন্তু ২০১৭ সালে এই লভ্যাংশ কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২০১৮ সাল পর্যন্ত লভ্যাংশ পেলেও এর পর থেকে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোন লভ্যাংশ দেয়া হচ্ছে না। গত দুই বছর ধরে লভ্যাংশ না পেয়ে বিনিয়োগকারী রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ে ঘোরাঘুরি করেও কোন লাভ হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ডা. রঞ্জিত মন্ডল ২০০৩ সালে এক লাখ, ২০০৪ সালে এক লাখ, ২০০৫ সালে এক লাখ এবং ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালে ২৬ লাখ মিলে মোট ৩০ লাখ বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ডা. বিকাশ চন্দ্র তরফদার এবং তাঁর স্ত্রী ডা. ৩০ লাখ করে মোট ৬০ লাখ টাকা, ডা. নরেন্দ্র কুমার রায় ৩০ লাখ টাকা, ডা. মো: ওসমান গণি ১৪ লাখ, চিকিৎসা সহকারী কমল কৃষ্ণ সাহা ৭ লাখ, খুকু রানী সান্যাল ৬ লাখ, তোফায়েল হোসেন ৩ লাখ, আব্দুল মোন্নাফ মিয়া ২ লাখ এবং ওসুধ ব্যবসায়ী পংকজ কান্তি সাহা ৭ লাখসহ মানিকগঞ্জের ৭৫ জন প্রায় ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। তারা বলেন, ওষুধ কোম্পানী হিসেবে এই কোম্পানির সুনাম রয়েছে। ওমক্সে, কেফিন, কেসল্ড ওষুদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ওই কোম্পানির রয়েছে আরও সাতটি শিল্প প্রতিষ্ঠান। তারা সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ওই কোম্পানির উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল হকের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।