আশি^ন মাসের অর্ধেক পার হয়েছে। শরৎ ঋতু প্রায় শেষের দিকে। কমবেশি সক্রিয় মৌসুমী বায়ু ও পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বেশিরভাগ জেলায় বিক্ষিপ্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। খুলনা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী বর্ষণ হয়। এ সময়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় মংলায় ৬৯ মিলিমিটার। টানা তিন দিনের বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের ফলে তাপমাত্রা আরও কমেছে। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সিলেটে ৩৪.৭ এবং সর্বনিম্ন খুলনায় ২৩ ডিগ্রি সে.। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩১.২ এবং সর্বনিম্ন ২৬.৩ ডিগ্রি সে.।

এদিকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ভারতের ঝাড়খন্ড ও সংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এলাকার দিকে সরে গেছে। সাগর-উপকূল-বন্দরে ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কা কেটে যাওয়ায় চট্টগ্রামসহ সমুদ্র বন্দরসমূহের সতর্ক সঙ্কেত তুলে নেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান জানান, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের পশ্চিমাঞ্চলের কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।

সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে ২ ডিগ্রি সে. বৃদ্ধি এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর বৃষ্টি, বজ্রবৃষ্টির প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।