সিনিয়রদের চাঁদার দাবি পূরণ না হওয়ায় বগুড়া পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের হলে আনারুল (২২) নামের এক ছাত্রের এক হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সকালেই পলিটেকনিক প্রশাসনের এক জরুরি বৈঠকে হয়েছে। পলিটেকনিক প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাটি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি ঐ ছাত্র বর্তমানে গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলার ধামইরহাটে অবস্থান করায় অভিভাবক ও তার সাথে যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে সিনিয়র ইনস্ট্রাকটর ও শিক্ষক নেতা নুরুদ্দিন মো. আলমগীর ইনকিলাবকে বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর আনারুলের আঙ্গুল কেটে নেয়া, শহীদ জিয়া মেডিকেলে চিকিৎসা গ্রহণ ও পরে বগুড়া থেকে নওগাঁর ধামইরহাটে যাওয়া এর কোনকিছুই কলেজ প্রশাসন জানত না। ছেলেটি নিজে বা যে হলে অবস্থান করতো সেখানকার কেউই ঘটনাটি কলেজ বা প্রশাসনের কাউকেই জানায়নি।
গত মঙ্গলবার রাতে ফেসবুকে তার আঙ্গুল কাটা হাতের ছবি ও সংক্ষিপ্ত ভিডিও ক্লিপের পোস্ট দেখে তারা প্রথম ঘটনাটি জানতে পারেন।
পরে ফেসবুকে ধামইরহাটের এক সাংবাদিক এই ঘটনা সম্পর্কে লেখেন, বগুড়া পলিটেকনিক হলের বড় ভাইরা তার কাছে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে তার হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে নিয়ে তাকে শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, ছেলেটির মা’ সাহারা খাতুন বিলাপ করে হাত কেটে নেওয়ার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনেক কিছু বললেও ছেলেটি কিন্তু কারা, কেন কি কারণে তার হাত কেটে নিয়েছে সেটা কোনক্রমেই বলতে চাচ্ছে না। ফলে সে কি প্রাণের ভয়ে মুখ খুলছে না নাকি এর ভেতরে অন্য রহস্যজনক ঘটনা রয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
আনারুলের বাবার নাম নজরুল ইসলাম। ২০১৭ সালে সে এসএসসি পরীক্ষায় স্থানীয় স্কুল থেকে জিপিএ-৫ সহ উত্তীর্ণ হয়ে নওগাঁর একটি বেসরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি হয়। তবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নতুন নিয়ম অনুযায়ি ৫ম বর্ষে এসে অনলাইনে বগুড়া পলিটেকনিকে তার পুণঃভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে বগুড়া পলিটেকনিক প্রশাসন জানায় হয়, ঘটনার কারণ অনুসন্ধান এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির ব্যাপারে তারা জোর প্রচেষ্টা শুরু করেছেন ।