বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে ঢুকে পড়েছে বন্যহাতি। কয়েকটি শাবকসহ ১৭টি বন্যহাতির এই দল তিন দিন ধরে তান্ডব চালাচ্ছে পার্কের জীববৈচিত্র জোন বগাচতর ও পাগলির বিল মৌজায়। সেখানে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ও চারণভ‚মির ২০০ হেক্টরের তিনটি বনায়ন প্রকল্পের প্রায় ৭০ হেক্টর ফলদ ও বনজ বাগান সম্পূর্ণ নষ্ট করে দিয়েছে।
এদিকে বন্যহাতির আতঙ্কে পার্কের আশপাশের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা রাত জেগে পাহারা বসিয়েছে। অন্যদিকে, পার্ক কর্তৃপক্ষও জীববৈচিত্র জোন এলাকায় কড়া পাহারা বসিয়েছে যাতে হাতিগুলো পার্কের বিভিন্ন বন্যপ্রাণী বেষ্টনী তথা পর্যটক-দর্শনার্থীদের ঘুরে বেড়ানোর জায়গায় আসতে না পারে। পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, সাফারি পার্কের বগাচতর মৌজা, পাগলির বিল মৌজায় সৃজিত বন্যপ্রাণী আবাসস্থল উন্নয়ন ও চারণভূমি সৃজন প্রকল্পের জীববৈচিত্র জোন এলাকায় বর্তমানে হাতিগুলো অবস্থান করছে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, দুই মৌজার ৫০ হেক্টর করে ১০০ হেক্টর বনভূমিতে বন্যপ্রাণী আবাসস্থল উন্নয়ন এবং বগাচতর মৌজার ১০০ হেক্টরজুড়ে সৃজন করা হয় চারণভূমির বনায়ন। যেখানে রোপণ করা হয় উড়ি আম, বৈল আম, আমলকী, হরীতকী, বহেরা, চালতা, নলি, পুঁতি ও কলা প্রজাতির জাম, ঢাকী জাম, চাপালিশ, বর্তাসহ হরেক প্রজাতির ফলদ ও বনজ বৃক্ষ। কিন্তু তিন দিন ধরে বন্যহাতির পাল এখানে হানা দেওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয় এই বাগানের।
এতে প্রায় ৭০ হেক্টর বাগান একেবারে নষ্ট করে ফেলে হাতিগুলো। সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, পার্কের ভেতরের বন্যপ্রাণী আবাসস্থল ও চারণভূমিতে হাতিগুলো খাবারের নিরাপদ স্থান খুঁজে পেয়েছে। তাই আগত পর্যটক-দর্শনার্থীদের ভ্রমণের স্থান তথা পার্কের বন্যপ্রাণীর বেষ্টনী এলাকায় যাতে হাতিগুলো চলে আসতে না পারে সেজন্য কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।