পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সউদী আরবে পাচারের পর বাঁচার আকুতি জানানোর মাস তিনেক পর স্বামীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মানবপাচারকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গত সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর পল্টন এবং রমনা এলাকা থেকে জনশক্তি রফতানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক রুবেলসহ চার জনকে গ্রেফতার করে র্যাব-৩ এর একটি দল। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইফতি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক রুবেল, আল-জাহাঙ্গীর এস্টাবলিশমেন্ট নামের আরেক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক মুবারক এবং তাদের সহযোগী আক্কাস ও তাহের। গতকাল র্যাব-৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বীণা রানী দাস জানান, বর্তমান সময়ে মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন ফাঁদ, যেমন বিদেশে উচ্চ বেতনে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ জনগণের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সউদী আরবে পাচারের শিকার এক ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-৩ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার পল্টন এবং রমনা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আক্কাস বেপারী ভিকটিমের স্বামীর পূর্ব পরিচিত। সে পাচারের শিকার নারীকে মধ্যপ্রাচ্যে ২৫ হাজার টাকা বেতনে হাসপাতালে আয়ার চাকরির প্রতিশ্রæতি দিয়ে গ্রেফতার মোবারক ও তাহেরের কাছে নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, তারা ইফতি ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক রুবেলের সহযোগিতায় রিক্রুটিং লাইসেন্স ব্যবহার করে ভিকটিমকে চলতি বছরের জুন মাসে সউদী আরবে পাঠায়।
এরপর আসামিরা ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ করেননি। ভুক্তভোগী বিদেশে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে স্বামীকে বিষয়টি অবহিত করে। ভুক্তভোগীর স্বামীর অভিযোগের মাধ্যমে পাচারে জড়িতরা নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারলেও সমস্যার সমাধানের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি উল্লেখ করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, এরপর ভুক্তভোগীর স্বামী জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধারের জন্য অভিযোগ করেন। তবে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য পাচারকারীরা ভুক্তভোগী পরিবারকে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং পাচারের শিকার নারীকে দেশে ফিরিয়ে আনার খরচ বাবদ চার লাখ টাকা দাবি করে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী নিরুপায় হয়ে স্ত্রীকে উদ্ধারের জন্য র্যাবের কাছে গত সপ্তাহে অভিযোগ করে ও পাচারে জড়িতদের নামে পল্টন মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।