Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের হতাশা চরম পর্যায়ে: মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:১০ পিএম

সরকারের লুটেরা অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় মানুষের হতাশা চরম পর্যায়ে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত সোমবার একজন রাইড শেয়ারের চালকের বাইক পুঁড়িয়ে ফেলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে মঙ্গলবার বিকালে এক দলীয় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, এরা (সরকার) অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে, লুটেরা অর্থনীতি তৈরি করেছে। কী অবস্থা দেখেন এই করোনার কারণে মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা এতো খারাপ হয়েছে যে, একজন যুবক তার মোটর সাইকেল পুঁড়িয়ে দিয়েছে। কেনো পুঁড়িয়েছে? সে বলছে যে, আমি একটা সিরামিক্সের দোকান করতাম। সেটা করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি আমার সঞ্চিত অর্থ দিয়ে একটা মোটর সাইকেল কিনে বাইক রাইড শেয়ারিং কাজ করার চেষ্টা করছি। সেখানে আমাকে প্রতি পদে পদে বাঁধা দেয়া হচ্ছে। অমুক সার্টিফিকেট লাগবে, অমুক সার্টিফিকেট লাগবে। তার চাইতে পুঁড়িয়ে ফেলি। এটা কখন হয়? যখন হতাশার চরম পর্যায় গিয়ে পৌঁছে মানুষের। আজকে সেই অবস্থায় গিয়ে আমরা পৌঁছেছি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংগ্রাম করতে হবে, লড়াই করতে হবে এবং ভবিষ্যত প্রজন্মকে এই লড়াইয়ে সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে।

আওয়ামী লীগ দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, আমাদেরকে সঠিক ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের যে স্বপ্ন ছিলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সেটাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন বহুদলীয় গণতন্ত্র নেই, একটা মুখোশ আছে, একটা আবরণ আছে গণতন্ত্রের। সেই আবরণের মধ্যে পুরোপুরি একদলীয় ব্যবস্থা চলছে। এখানে একটা ভয়ভীতির সংস্কৃতি এমনভাবে তৈরি হয়েছে যে, এখন কথা বলতে যে কেউ ভয় পায়, লিখতে ভয় পায়, সাংবাদিকরা লিখতে ভয় পায়।

গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে স্বাধীনতার সূবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন জাতীয় কমিটি ও বিষয় ভিত্তিক কমিটির এই সভা হয়। জাতীয় কমিটির আহবায়ক খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব আবদুস সালামের সঞ্চালনায় সভায় স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ইসমাইল জবিহউল্লাহ, ফরহাদ হালিম ডোনার, বিজন কান্তি সরকার, অধ্যাপক আফম ইউসুফ হায়দার, আবদুল হাই শিকদার, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জয়নাল আবেদীন, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, আশরাফউদ্দিন উজ্জ্বল, আমিনুল হক, জহিরউদ্দিন স্বপন, মনীষ দেওয়ান, মার্শেল এম চিরমা, অধ্যাপক হারুন আল রশিদ, চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের এবিএম আবদুর সাত্তার, রিয়াজউদ্দিন নসু ও প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মির্জা ফখরুল ইসলাম


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ