বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সর্পিলাকার সাদা ফড়িং’ নামে এক নতুন উপদ্রপ কৃষিতে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। মাঠের কলা বাগান থেকে নারিকেল গাছে এর সংক্রমণে চিন্তিত দেশের শীর্ষ কীটতত্ত্ববিদরাও ।
মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে , মুন্সিগঞ্জ , বগুড়া ও দিনাজপুরের বিস্তির্ন কলার বাগান , যশোর সহ দক্ষিনের নারিকেল উৎপাদক অঞ্চলের শতশত নারিকেল গাছে দেখা গেছে এই সাদা ফড়িং এর উপদ্রপ। ছোট কলার গাছ বা লম্বা নারিকেল গাছে এই সর্পিলাকার সাদা ফড়িং এর সংক্রমনের ফলে গাছের পাতা কালচে রং ধারনের পর সেগুলো পোড়া পোড়া হয়ে ঝরে ঝরে পড়ছে । বিশেষ করে নারকেল গাছে এর প্রবাব অনেক বেশি।
দ্রুতই এই সংক্রমন রোধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে নারিকেলের ফলনে মারাত্মক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে সচেতন চাষি ও বিশিষ্ট কীটতত্তবিদগন ।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের সাবেক মুখ্য কীটতত্ত¡বিদ ও বর্তমানের ঈশ^রদীর ডাল গবেষনা কেন্দ্রের পরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন , বিষয়টি উদ্বেগেরতো বটেই।
২০১৯ সালে প্রথম তাদের কাছে খবর আসে যশোরের নারিকেল বাগানে এই উপদ্রপ দেখা দিয়েছে। তবে উদ্বেগের বিষয় হল এখন মোটামুটি সারাদেশেই নারিকেল গাছে এর সংক্রমনের খবর আসছে ।
নারকেলের গাছে এই সংক্রমন অভিনব এবং নতুন। এছাড়া নারিকেল চাষিরা অন্যান্য ফসলের চাষবাসের জড়িতদের মতো সচেতন নয় । ফলে এই মাছি দমনের মত কীটনাশক থাকা সত্তে¡ও শুধুমাত্র উদাসীনতার কারনেই এর ম্যাসিভ এ্যাটাক হলে তখন হাজার নারিকেল গাছের অপমৃত্যু হতে পারে । স্থায়ীভাবে কমে যেতে পারে ফলনও।
অন্যদিকে কৃষি গবেষনা কেন্দ্রের আরেক সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বগুড়ার কন্দাল গবেষনা কেন্দ্রের ইনচার্য জুলফিকার হায়দার প্রধান বলেন , বগুড়া ও জয়পুরহাট এলাকায় প্রচুর কলা উৎপাদন হয়ে থাকে । এবছর মোকামতলার কলা বাগানে এর সংক্রমন বেশি লক্ষ্যনীয় । তবে দিনাজপুর ও মুন্সিগঞ্জ এলকার কলা বাগানগুলোতেও এর সংক্রমন হয়েছে মর্মে খবর এসেছে ।
তিনি জানান, স্পাইরাল হোয়াইট ফ্লাই বা সর্পিলাকার সাদা মাছির সংক্রমন আগেও ছিল । তখন শুধুমাত্র পেয়ারা ও পেয়ারা গাছে এর সংক্রমন হতো । কিন্তু এখন নারিকেল , কলার গাছে এর সংক্রমন চিন্তার বিষয় ।
তবে এসব দমনে বাজারে কীটনাশক আছে কি না ? জানতে চাইলে জুলফিকার হায়দার বলেন আছে । তবে এর ব্যবহার ও প্রয়োগ জানতে হবে। কারন এই সংক্রমন হয় কলা ও নারিকেল গাছের পাতার নিচে । এজন্য চাষি পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে ।
হঠাৎ কেন এই সংক্রমন জানতে ড. দীপক সরকার বলেন , আবহাওয়ার পরিবর্তণ এবং বৈশি^ক উত্তাপ বৃদ্ধি অন্যতম কারন হতে পারে। প্রতিকারের প্রসঙ্গে তিনি জানান, মাঠ পর্যায়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে । যেহেতু বাজারে এসব দমনে প্রয়োজনীয় কীটনাশক রয়েছে তাই চাষী পর্যায়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করতে পারলে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনা বা সংক্রমন মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।