Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

খাবারের খোঁজে এসে বিদ্যুৎস্পর্শে হনুমানের মৃত্যু

যশোর ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৬:২০ পিএম

বিদ্যুৎস্পর্শে একটি পুরুষ হনুমানের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মণিরামপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ হোসেন আলী জানান, রাস্তার ধারে একটি মেহগনিগাছে চলাচল করতে গিয়ে বিদ্যুতের তারে স্পর্শ লাগে হনুমানটির। এ সময় পাকা সড়কের ওপর পড়ে মাথা ফেটে সেটির মৃত্যু হয়। হনুমানটি যখন মারা যায়, তখন সেখানকার গাছ ও মনোয়ারা ক্লিনিকের দোতলার ছাদে অন্তত ২০টি হনুমানকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। তারা খাবারের খোঁজে এখানে এসেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের। বেশ কয়েকমাস হনুমানের কয়েকটি দলকে মণিরামপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে।

এদিকে, খবর পেয়ে মণিরামপুর উপজেলা বন বিভাগের লোকজন হনুমানটির সৎকারের ব্যবস্থা করেন। ঐতিহ্যগতভাবে কালোমুখো হনুমানের বসবাস যশোরের কেশবপুর অঞ্চলে। সরকারিভাবে ৩০০-৩২০টি হনুমানের জন্য মাসে প্রায় এক লাখ টাকার খাদ্যের ব্যবস্থা করা হলেও সেই খাদ্য ঠিকমতো বিতরণ করা হয় না বলে অভিযোগ রয়েছে। ফলে, হনুমানেরা খাবারের খোঁজে কেশবপুর ছেড়ে আশপাশের এলাকায় ঢুকে পড়ে। শুধু মণিরামপুর এলাকায় একাধিক দলে অন্তত ৫০টি হনুমান বিচরণ করছে।

মণিরামপুর ও কেশবপুর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা বন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, কেশবপুরে তিনশয়ের বেশি হনুমান আছে। ওদের জন্য নিয়মিত কলা, বাদাম ও রুটির ব্যবস্থা করা হয়। ঠিকাদারের মাধ্যমে ভ্যানযোগে কেশবপুরের ৫-৭টি পয়েন্টে খাবার বিতরণ করা হয়।

তিনি বলেন, মাসে ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ আসে; যা ৩০০-৩২০টি হনুমানের জন্য পর্যাপ্ত নয়। তিনি বলেন, মণিরামপুর অঞ্চলে কিছু হনুমান অবস্থান করছে। সেখানে তাদের খাবারের কোনো ব্যবস্থা নেই। অভ্যাসগত কারণে অথবা খাবারের সংকটেও তারা মণিরামপুরে বিচরণ করতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিদ্যুৎস্পর্শে হনুমানের মৃত্যু
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ