Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাথরঘাটায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের জেরে ইজিবাইক চালকের দুই পায়ের রগ কর্তণ

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৫২ পিএম

বরগুনার পাথরঘাটায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনি শত্রুতার জেরে আবদুল মান্নান ফকির (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে জখমের পর উভয় পায়ের রগ কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। সোমবার সকাল ৯টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের বাইনচটকি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত মান্নানকে উদ্ধার করে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নির্মমতার শিকার মান্নান ফকির কাকচিড়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাইনচটকি গ্রামের লেহাজ উদ্দীনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মান্নানের মেয়ে মুন্নি আক্তার জানান, প্রতিদিনের মত বাবা বাড়ি থেকে বের হয়ে ইজিবাইক চালাতে কাকচিড়া বাজারে যাচ্ছিলেন। জহির জোমাদ্দারের বাড়ির সামনে পৌঁছতেই কাকচিড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টুর বোন হাসি বেগমের নেতৃত্বে বারেকের ছেলে লিটন, কালামের ছেলে আল-আমিন, মোস্তফার ছেলে হাসিবসহ আরো চার পাঁচজন যুবক তার পথ আগলে দাঁড়ায়। এসময় একজন ভারি লাঠি দিয়ে পেছন থেকে মান্নানের পিঠে আঘাত করে। আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মান্নানের দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। এসময় মেয়ে মুন্নির চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারিরা সেখান থেকে চলে যায়।
মান্নানের স্ত্রী আসমা বেগম জানান, ইউপি নির্বাচনে বর্তমান চেয়ারম্যান পল্টু ও তার বোন সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডের প্রার্থী হাসি বেগমের বিরোধীতা করায় চেয়ারম্যান ও তার বোন ক্ষিপ্ত ছিল। নির্বাচনের সময় মান্নানের সাথে হাসি ও তার লোকজনের সাথে হাতাহাতিও হয়েছিল। এর জেরেই স্বামী মান্নানের উপর পরিকল্পিত হামলা করা হয়েছে।
জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মান্নান বলেন,‘ চেয়ারম্যানের বোন হাসি যখন লোকজন নিয়া আমারে রাস্তায় আটকাইয়া দাড়াইছে তহন চেয়ারম্যান পল্টু হাসিরে ফোনে কইতেছিল, ওর হাত পায়ের রগ কাইট্টা দে, তাইলেই মইরা যাইবে আনে’। হেইয়ার পরই মোর মাতায় পিছন দিয়া পিডান দেয়। আর কিছু মনে করতে পারছিনা।’

বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসক তারেক রহমান বলেন, মান্নানের মাথার পিঠে দিকে ভারি বস্তুর আঘাতে জখম হয়েছে। উভয় পায়ের গোড়ালিতে ধারালো অস্ত্রের জখম হয়েছে। ডান পায়ের জখম গুরুতর। রগ কেটেছে কিনা পরীক্ষা না করে বলা যাচ্ছেনা।
এ বিষয়ে কথা বলতে যোগাযোগ করা হলে ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন পল্টু বলেন, মান্নাকে কে বা কারা মেরেছে আমার জানা নেই। সে বরাবরই আমার বিরোধীতা করে আসছে। এখন তাকে মারধরের বিষয়েও দোষারোপ করে ফায়দা নিতে চাইছে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার মুঠোফোনে বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি, সেখানে আমাদের ফোর্স পাঠানো হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি। হামলার শিকার মান্নানের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার পর তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ