বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদার দিকে নজর না দিয়েই ভারতে রফতানি করা হচ্ছে ইলিশ। প্রতি কেজি ইলিশ দেশের খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা। সেখানে ভারতে রফতানি হচ্ছে প্রতি কেজি ১০ ডলার বা সাড়ে ৮শ’ টাকায়। গতকাল শনিবার বেনাপোল স্থলবন্দরের মাধ্যমে ১৮৬ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করা হয়েছে। গত বুধবার ভারতে গেছে ১০৩ মেট্রিক টন, বৃহস্পতিবার ২০৯ মেট্রিক টন ও গতকাল গেছে ১৮৬ মেট্রিক টন ইলিশ। এ নিয়ে গত তিনদিনে গেল ৪৯৮ মেট্রিক টন ইলিশ। আরো যাবে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন।
দুর্গা পূজা উপলক্ষে সরকার ভারতীয়দের বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের রসনার কথা বিবেচনা করে ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। ২০১২ সালের আগে ভারতে ইলিশ রফতানি করা হতো। তবে ইলিশের উৎপাদন কমে যাওয়ায় ২০১২ সালের পর রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত বছরও দুর্গাপূজা উপলক্ষে এক হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। এবার যাচ্ছে ৩ গুণের বেশি। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে সব ইলিশ রফতানির নির্দেশনা রয়েছে।
ইলিশ রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান অর্পিতা ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মালিক বিশুদা নন্দা আচার্জী বলেন, এবার ভারতে চার হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করা হবে। প্রতি কেজি ইলিশের রফতানি মূল্য ১০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় প্রতি কেজি ৮৫০ টাকা।
ভারত ও বাংলাদেশ দুই দেশের কাস্টমস থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ইলিশের এ চালান ছাড় করানো হচ্ছে। দেশে ইলিশের রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ১১৫টি। তিনি আরও বলেন, ১০ অক্টোবরের মধ্যে সকল ইলিশ রফতানির নির্দেশনা থাকলেও সরকার ৪ অক্টোবর থেকে ইলিশ মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর ফলে রফতানিকারকরা কীভাবে এত পরিমাণ ইলিশ এসময়ের মধ্যে ভারতে রফতানি করতে পারবে সেটাই ভাবনার বিষয়। এদিকে, ইলিশের চাহিদা মিটছে না এমন অবস্থায় ইলিশ রফতানিকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন না সাধারণ মানুষ। খুলনার মৎস্য রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বিএন ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সবার আগে অভ্যন্তরীণ চাহিদার কথা চিন্তা করতে হবে। চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করলে তা সবার জন্যই লাভজনক। বর্তমান অবস্থায় ইলিশ রফতানির বাণিজ্যিকভাবে কোনো মূল্য নেই।
খুলনার অপর মৎস্য রফতানিকারক নুর এ জিলানী বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। তাদের দেশের মানুষকে আমরা ভালোবাসি।
কিন্তু দেশের মানুষ ইলিশ খেতে পারছে না। তাই ভারতে ইলিশ রফতানি মোটেও ভালো সিদ্ধান্ত নয়। উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ভারত কখনোই অভ্যন্তরীণ প্রয়োজন না মিটিয়ে কোনো পণ্য রফতানি করে না। অতীতে কখনো আমরা দেখিনি আমাদের বিশেষ কোনো পণ্য সঙ্কটের সময় ভারত নিজেদের প্রয়োজনের কথা গুরুত্ব না দিয়ে আমাদেরই পাশে দাঁড়িয়েছে। এ মুহূর্তে দেশের খুচরা বাজারে ক্রেতা পর্যায়ে ইলিশ প্রতি কেজি ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ আমাদের রফতানিকারকরা মাত্র সাড়ে ৮শ’ টাকায় ইলিশ পাঠাচ্ছে। কেনো এতো ছাড় দেয়া হচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।