Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউএনও’র হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল আম্বিয়া মেয়ের পিতার ১০ দিনের কারাদন্ড

প্রকাশের সময় : ১০ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

মহসিন রাজু, বগুড়া থেকে

বগুড়ার শাজাহানপুর পল্লীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাফিউল ইসলামের হস্তক্ষেপের কারণে বাল্যবিয়ের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেল আম্বিয়া খাতুন নামের ৫ম শ্রেণীর একছাত্রী। পাশাপাশি এই ঘটনায় কারাগারে গেল আম্বিয়ার বাবা রফিকুল। ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ে তাকে ১০ দিন কারাভোগ করতে হবে। গ্রামবাসী সূত্রে জানা যায়, শাজাহানপুর উপজেলার মাদলা ইউনিয়নের শেরকোল গ্রামের গরিব ফেরিওয়ালা রফিকুলের ৩ ছেলে মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে আম্বিয়া খাতুন খোট্টাপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। দারিদ্রের অজুহাতে সে গাবতলী উপজেলার মহিষাবান দারিপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদের পুত্র রাজমিস্ত্রি আব্দুল খালেকের সাথে আম্বিয়ার বিয়ের আয়োজন করেছিল। গত শুক্রবার শেরকোল গ্রামে আম্বিয়ার বিয়ের অনুষ্ঠানের সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আটক করেন আম্বিয়ার বাবা রফিকুলকে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে রফিকুল ইসলামের ১০ দিনের কারাদ- প্রদান করা হয়। এই ঘটনায় হতবাক ও অপ্রস্তত রফিকুল ইসলাম বলেন, তার দুটি মেয়ে বড় হয়ে উঠেছে , বেড়ে গেছে সংসারের ব্যয়। তার মতো হতদরিদ্র মানুষের পক্ষে একসাথে ২ মেয়ের বিয়ের খরচ চালানো কষ্ট হবে বলে বড় মেয়েটিকে আগেই বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাফিউল ইসলাম জানান, দারিদ্রতার কারণে বাল্যবিয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তাই তিনি বেআইনি বিবাহ কার্যক্রমের দায়ে রফিকুলকে ১০ দিনের কারাদ-াদেশ দিয়েছেন, প্রয়োজনে তার পরিবারকে আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ইউএনও’র হস্তক্ষেপে রক্ষা পেল আম্বিয়া মেয়ের পিতার ১০ দিনের কারাদন্ড
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ