Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছাতকে হত্যা মামলার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও লাইভ প্রচার!

ছাতক (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৪:১৮ পিএম

সুনামগঞ্জের ছাতকে চাঞ্চল্যকর একটি হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও লাইভ প্রচারের ঘটনায় তোলপাড় চলছে। থানার ওসির কক্ষে ধারণ করা ওই ভিডিও পরবর্তীতে 'ছাতক টু সুনামগঞ্জ' নামক একটি ফেইসবুক পেইজে লাইভ করা হয়। আপলোড দেয়ার পর মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে 'ছাতক টু সুনামগঞ্জ' নামক ফেইসবুক ভিত্তিক কথিত একটি পেইজে লাইভটি প্রচারের পর প্রায় ৫ হাজার মানুষ এটি দেখেন। ক্লু-লেস হত্যাকান্ডের বর্ণনা শুনে ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য দোষীরা পালিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি পুলিশের খামখেয়ালিপনা বলে লাইভ চলাকালে অনেকেই মন্তব্য করেন।

মোবাইলে ধারণ করা গোপনীয় এই ভিডিও কিভাবে কথিত এই পেইজে চলে গেলো তা নিয়ে সচেতন মহলে চলছে নানান আলোচনা সমালোচনা। প্রায় এক ঘন্টা পর ওই পেইজ থেকে ভিডিওটি ডিলিট করে দেয়া হয়।
ভিডিওতে গ্রেফতারকৃত আসামীসহ ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিন, গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাওঁ ইউপি চেয়ারম্যান আখলাকুর রহমানসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেছে। এদিকে সারা দেশে ভূইফোড় এসব ফেইসবুক পেইজের বিরুদ্ধে অভিযান চললেও উদ্ভট নাম ব্যবহার করে চলা এই পেইজে প্রায় সময় ছাতক থানার বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রচার করতে দেখা গেছে। এনিয়ে নানান সময় ছাতক থানা পুলিশ সমালোচিত হলেও টনক নড়েনি তাদের।

এব্যাপারে অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম শাহিন জানান, মামলার তদন্ত কার্যক্রমে জড়িত পুলিশ কর্তৃপক্ষ কার্যক্রম নিরপেক্ষ রাখতে আরো সতর্ক থাকা উচিৎ ছিল।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, আমি অবগত ছিলাম না, এব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
এব্যাপারে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।
ছাতক থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি এগুলো করিনি, পরে অন্য কেউ হয়তো করেছে।

উল্লেখ্য গত ১৯-সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে আখলাদ (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ বাজার থেকে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা তাকে খুন করে পালিয়ে যায়। রাতেই ক্ষেতের জমি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আখলাদ গোবিন্দগঞ্জ -সৈদেরগাও ইউনিয়নের মোল্লাআতা গ্রামের জাহির আলীর ছেলে।

এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে একই ইউনিয়নের গোবিন্দনগর গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে আবু সুফিয়ান সোহাগ ও দিঘলী-চাকলপাড়া গ্রামের আশরাফুল আলমের ছেলে আলীম উদ্দিনকে নিজ বাড়ি থেকে গত বুধবার রাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আসামিরা আদালতে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ