রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
সাদিক মামুন, কুমিল্লা থেকে
সাড়ে চার বছরেরও বেশি সময় পার হলেও চূড়ান্ত হয়নি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের (কুসিক) সাংগঠনিক কাঠামো, নিয়োগবিধি ও চাকরি বিধিমালা। দেড়শ বছরের পুরনো কাঠামো দিয়েই চলছে কুসিক। ফলে কর্পোরেশনের প্রয়োজন অনুযায়ি জনবল নিয়োগ করা যাচ্ছে না। অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকা প্রায় ছয়শ কর্মকর্তা-কর্মচারিই জনগুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোতে কাজ করছেন। সাংগঠনিক কাঠামোর সার্বিক প্রস্তাবনাটি মাস দুয়েক আগে আইন মন্ত্রণালয়ে এসেছে। আর এখান থেকেই মিলবে এটির চূড়ান্ত অনুমোদন। তবে নগর ভবনের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ইঙ্গিত মিলেছে কুসিকের বর্তমান পরিষদের যে কয়েক মাস মেয়াদ রয়েছে এসময়ের মধ্যে চূড়ান্ত অনুমোদনের সম্ভাবনা নেই। জানা যায়, ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কুমিল্লা পৌরসভা। আর শহরের দক্ষিণ এলাকার ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ২০০৩ সালে গঠিত হয় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ পৌরসভা। ২০১১ সালের ১০ জুলাই মোট ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন গঠিত হয়। ২০১২ সালের ৫ জানুয়ারি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শপথ গ্রহণের চারদিন পর ৬ ফেব্রুয়ারি মেয়রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন মনিরুল হক সাক্কু। সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠার দুই মাসের মধ্যে ওই সময়ের সচিব ছামসুল আলম স্থানীয় সরকার সচিবের কাছে প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত সাংগঠনিক কাঠামো লিখিতভাবে উপস্থাপন করেন। এদিকে নবগঠিত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যমান প্রয়োজনের আলোকে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি নতুন করে আরেকটি সাংগঠনিক কাঠামোর প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে প্রস্তাবনাটি পাঠানো হয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। প্রায় চার মাস আগে প্রস্তাবনাটি আইন মন্ত্রণালয়ে আসে। কুমিল্লা পৌরসভা ও সদর দক্ষিণ পৌরসভার যে কাঠামো ছিল তা দিয়েই চলছে কুসিক। যা প্রায় ১৬০ বছরের পুরানো। ক্যাটাগরি অনুযায়ি কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের জনবলের চাহিদা রয়েছে ১ হাজার ১৭০জনের। সেক্ষেত্রে বিলুপ্ত কুমিল্লা পৌরসভা ও সদর দক্ষিণ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারি ১১৬জনকে দিয়েই সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদন না হওয়ায় জনবল নিয়োগও করা যাচ্ছে না। সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর এলাকাসহ কাজের পরিধি বাড়ায় কর্পোরেশনের বিভিন্ন বিভাগে কাজ করার জন্য মাস্টাররোলে ৫৭০জনকে অস্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। তারমধ্যে পরিচ্ছন্ন বিভাগে কাজ করছে ৪২২জন। এছাড়া প্রেষণে রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সফিকুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী তারিকুল ইসলাম ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে মাসুদুর রহমান। এদিকে কুসিকের বিভিন্ন বিভাগের ৪৩জন কর্মকর্তা-কর্মচারিকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে। মাস খানেক আগে তাদের পদোন্নতি দেয়া হয়। মেয়র মনিরুল হক সাক্কু তার মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে ওই ৪৩জনকে পদোন্নতি দেন। তবে কাঠামো পাস না হওয়ার আগ পর্যন্ত পদোন্নতিপ্রাপ্তরা স্ব-স্ব পদে চলতি দায়িত্ব পালন করবেন। অন্যদিকে সাংগঠনিক কাঠামো পাস হলে অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে চাকরিতে বহাল থাকা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কুসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নুরুল্লাহ জানান, ‘সাংগঠনিক কাঠামোর প্রস্তাবনাটি প্রেরণের সাড়ে চার বছরের বেশি সময়েও পাস না হওয়ার বিষয়টি দুঃখজনক বটে। তবে প্রস্তাবনাটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে মাস চারেক আগে আইন মন্ত্রণালয়ে গিয়েছে। সেখান থেকেই চূড়ান্ত অনুমোদন মিললে সাংগঠনিক কাঠামোটি আলোর মুখ দেখবে। তবে এটি কবে নাগাদ হবে এ বিষয়ে সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।’ অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারিদের চাকরির বিষয়ে শেখ নুরুল্লাহ বলেন, ‘সাংগঠনিক কাঠামো পাস হলে অস্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারিরাদের মধ্যে যাদের বয়স নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ি সঠিক থাকবে তারাই অস্থায়ী থেতে শূন্যপদ পূরণে সুফল পাবেন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।