রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মো. আবুল খায়ের, পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে
রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নে সৃষ্ট এক সময়ের দেশের সর্ববৃহৎ নারিকেল বাগান হিসেবে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এখন অযতœ, অবহেলায় উজাড় হয়ে যাচ্ছে। প্রায় দুই যুগ আগে যে বাগানে নারিকেল গাছের সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার। এখন সেখানে গাছের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২ হাজারেরও কম। পীরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিঃ মিঃ দক্ষিণে চতরা ইউনিয়নের অবস্থান। বিগত ১৯৮৪-৮৫ সালে তৎকালীন চতরা ইউ,পি চেয়ারম্যান পরবর্তীতে এমপি প্রয়াত আব্দুল জলিল প্রধান ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইউনিয়নটির বিভিন্ন রাস্তার দু’পাশে এবং পরিত্যক্ত স্থান সমূহে পর্যায়ক্রমে ৮০ হাজার নারকেল গাছ রোপণ করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল ইউনিয়নটিকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী ও বেকারদের কর্মস্থান সৃষ্টি করা। নারকেল বাগান সৃষ্টির সূচনাকালে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, “নারকেল গাছের কোনো অংশই ফেলে দিতে হয় না। কারণ, ডাব রোগীর উপযুক্ত পথ্য। নারকেল অতি সুস্বাদু ও মুখরোচক খাবার। এছাড়াও নারকেলের ছোবড়া দিয়ে তৈরি করা যায় শক্ত রশি, রিক্সার গদি। পাতার শলা দিয়ে তৈরি হয় উত্তম ঝাড়–, পাতা দিয়ে তৈরি করা হয় ব্যাগসহ বিভিন্ন কুটির শিল্পজাত সামগ্রী। সেই সাথে নারকেলের উপরের শক্ত অংশ দিয়ে তৈরি করা যায় বোতাম”। এসব দিক বিবেচনা করে নারকেল ভিত্তিক শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই তিনি এই ৮০ হাজার নারকেল গাছ লাগিয়েছিলেন। এসব গাছ খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে ইউনিয়নটিতে এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশের সৃষ্টি করে। এই নারকেল বাগানের সাফল্যের কথা জেনে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ স্বয়ং আকাশপথে হেলিকপ্টারযোগে চতরা ইউনিয়নের হাই স্কুলের মাঠে অবতরণ করেছিলেন। তিনি এই পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ দেখে মুগ্ধ হন। ফলে এরশাদের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে পরবর্তীতে মনোনয়ন পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল প্রধান পরপর দু’বার এম,পি পদে নির্বাচিত হন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় মধ্য বয়সেই আব্দুল জলিলের অকাল মৃত্যু হলে বাগানটি রক্ষায় ওই ইউনিয়নে পরবর্তীতে নির্বাচিত ইউ,পি চেয়ারম্যানগণ আন্তরিক না হওয়ায় প্রয়োজনীয় যতœ আর পরিচর্যার অভাবে দিনের পর দিন নারকেল গাছগুলো নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। এভাবে নষ্ট হতে থাকা নারকেল গাছের সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে কমে বর্তমানে ২ হাজারেরও নিচে নেমে এসেছে। নষ্ট হয়ে যেতে থাকা নারকেল গাছগুলো উদ্যোমী, সাহসী আর অক্লান্ত পরিশ্রমী আব্দুল জলিলকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। যে হারে নারকেল গাছগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, এভাবে চলতে থাকলে আর কিছু দিনের মধ্যে নারকেল গাছের কোন চিহ্নও থাকবে না আর চতরা ইউনিয়নে! সেই দিন আসতে আর কতদিন বাকি?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।