বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এসময়ে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯ জন। এ নিয়ে সরকারি হিসেবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ২২৭ জনে। এর মধ্যে চলতি মাসের ২২ দিনেই ১৫৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আর গত এক সপ্তাহে আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ৫১।
তবে দক্ষিণাঞ্চলে এখনো ডেঙ্গু আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে। যদিও গত ১৩ সেপ্টেম্বর মাওলানা আবদুর রাজ্জাক জিহাদী নামের এক রোগী বরিশাল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তির পরে রক্তের প্লাটিলেট ২০ হাজারে নেমে গেলে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর পথে তার মৃত্যু ঘটে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিভাগের তালিকায় কোন মৃত্যুর নাম নেই।
ইতোমধ্যে ঢাকার আইডিসিআরের একটি পরিদর্শক দল দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতাল পরিদর্শন করে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগীদের পরীক্ষা ও তাদের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। চিকিৎসাধীন রোগীর প্রায় সকলেই ঢাকা থেকে জ্বর নিয়ে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শুধুমাত্র একজন রোগীর নিজ এলাকার বাইরে যাবার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে অধিকতর পরীক্ষার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে দক্ষিণাঞ্চলের সর্বত্র মশক নিধনের পাশাপাশি বংশ বিস্তার রোধে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের তাগিদ দেয়া হয়েছে। একইভাবে সবাইকে যেকোন ধরনের মশার হাত থেকে রক্ষায় সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরো অক্টোবরেই ডেঙ্গুর বিস্তার অব্যাহত থাকতে পারে। এডিস মশা ও তার লার্ভা ধ্বংশে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। যার মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৫০ জন। এছাড়া পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও ২৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে এর মধ্যে ২৮ জনই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় এ পর্যন্ত সর্বমোট ১৪০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হবার পরে চিকিৎসা নিয়ে ১১১ জন সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরলেও গতকাল বুধবার দুপুর পর্যন্ত ২৯ জন এখনো চিকিৎসাধীন।
বরিশাল মহানগরীতে ঠিক কতজন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে তার কোন সঠিক তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের কাছে নেই। পাশাপাশি এডিস মশা নিধনে কি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে গত কয়েক দিনে সিটি করপোরেশনের পয়ঃনিস্কাশন ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কনজার্ভেন্সি কর্মকর্তা প্রাণি চিকিৎসক ডা. রবিউল ইসলামেরর সাথে যোগোযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।