Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশী নায়িকাদের প্রতি কলকাতার নায়িকাদের ক্ষোভ

বিনোদন রিপোর্ট: | প্রকাশের সময় : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করছেন এবং নিজ যোগ্যতায় সেখানে স্থান করে নিয়েছেন। সেখানের নির্মাতারাও তাদের নিয়ে কাজ করছেন। তবে এ নিয়ে কলকাতার অনেক নায়িকাই ক্ষুদ্ধতা প্রকাশ করেছেন। তাদের ক্ষুদ্ধতার কারণ, বাংলাদেশের অভিনেত্রীরা তাদের জায়গা কেড়ে নিচ্ছে। এ নিয়ে তারা পত্র-পত্রিকায় নাম প্রকাশ না করে বিবৃতিও দিচ্ছেন। বর্তমানে কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করছেন জয়া আহসান, মিথিলাসহ আরও বেশ কয়েকজন। সেখানের নির্মাতারা তাদের নিয়ে একের পর এক সিনেমায় কাজ করছেন। বেশ কয়েক বছর আগে কলকাতায় অভিনয় শুরু করেন জয়া আহসান। আবর্ত সিনেমার মাধ্যমে টলিউডে তার যাত্রা শুরু হয়। এর পর রাজকাহিনী, বিসর্জন, বিজয়া, কণ্ঠ, বিনিসুতোয়সহ আরো বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। আরো কয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। সৃজিত মুখার্জি নির্মিত ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো খেতে আসেননি’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে কলকাতায় যাত্রা শুরু হয় আজমেরী হক বাঁধনের। সিরিজটি মুক্তির পর এটি দারুণ প্রশংসিত হয়। এখন তাকে নিয়ে টলিউডের অনেক পরিচালকই কাজ করার কথা ভাবছেন। রাজর্ষি দে পরিচালিত ‘মায়া’ সিনেমার মাধ্যমে টলিউড যাত্রা শুরু করেন মিথিলা। এরপর রিঙ্গো ব্যানার্জির আ রিভার ইন হেভন সিনেমায় অভিনয় করেন। এছাড়া চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন অরুণাভ খাসনবিশের পরিচালনাধী নীতিশাস্ত্র এবং কলকাতার রাজনীতিক মদন মিত্রের জীবনী নিয়ে নির্মিতব্য একটি সিনেমায়। বাংলাদেশের এই তিন নায়িকা কলকাতায় এখন যে ধরনের সিনেমায় অভিনয় করছেন, এ ধরনের চরিত্রে আগে দেখা যেত পাওলি দাম, স্বস্তিকা মুখার্জি, রাইমা সেনকে। তাদের প্রতি নির্মাতাদের চাহিদা কমে যাওয়ায় তারা বাংলাদেশের তিন নায়িকাকে নিয়ে কাজ করছেন। এ নিয়ে সেখানের নায়িকাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এক নায়িকা ভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, এমন অনেক চরিত্রই বাংলাদেশী অভিনেত্রীদের নেয়া হয়, যেটা এখানকার যে কেউ করতে পারত। আমাদের কাউকে না নিয়ে বাংলাদেশের অভিনেত্রীদের নেয়া হচ্ছে। কলকাতায় বাংলাদেশের শিল্পীরা যতটা সুযোগ পান, সেই তুলনায় বাংলাদেশে আমাদের কাজের সুযোগ বেশ কম। কলকাতার নায়িকাদের এমন ক্ষোভ প্রকাশের জবাবে জয়া আহসান বলেছেন, সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকা তো ভালো। আমার মতে শিল্পের কোনো সীমারেখা থাকা উচিত নয়। কলকাতার অনেকে বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং করছেন। এতে আমি আপত্তির কিছু দেখছি না। মিথিলা বলেছেন, আমি বৈবাহিক সূত্রে কলকাতায় থাকছি, তাই এখানে কাজ করছি। আমাকে কারো প্রতিযোগী হিসেবে দেখাটা ঠিক হবে না। এখানে কেউ কারো কাজ, জায়গা কেড়ে নিতে পারে না। সবাই নিজ যোগ্যতায় কাজ পাচ্ছেন। চলচ্চিত্র বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর কলকাতার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী বাংলাদেশের সিনেমায় কাজ করেছেন। সন্ধ্যা রায়, মিঠুন চক্রবর্তী, প্রসেনজিৎ, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, দেব, পরমব্রত, সোহম, রাইমা সেনসহ অনেক প্রবীন-নবীন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা বাংলাদেশের সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এ নিয়ে আমাদের এখানে কখনো আপত্তি করা হয়নি। কারণ শিল্পীর কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অন্য ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে কাজ করবেন এটাই স্বাভাবিক।



 

Show all comments
  • জহির ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:৩৮ এএম says : 0
    এটাই ভারতের আসল রূপ
    Total Reply(0) Reply
  • Rathi Banerjee ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৮:৪৪ এএম says : 0
    মনে করুন দেশ ভাগ হয় নি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ