Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইউনিয়ন-পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে

ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

শেখ হাসিনার সরকার স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে বরাবরই গুরুত্ব দিয়ে আসছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন এবং পৌরসভা নির্বাচন দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউনিয়ন এবং পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ বেড়েছে, যা ইতিবাচক। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন তৃণমূলে গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করে, জবাবদিহিতার সুযোগ বাড়ায়। এর ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যায়।
সংবিধান অনুযায়ী সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করে আসছে দাবি করে তিনি বলেন, আশা করি, নির্বাচন কমিশন পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে আইনশৃংখলা রক্ষায় আরও কার্যকর এবং কঠোর পদক্ষেপ নিবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির কথা শুনলে মনে হয়, দেশে একমাত্র তারাই গণতন্ত্রের ধারক, বাহক ও রক্ষক। তারাই গণতন্ত্রের সোল এজেন্ট। বিএনপি নিজেদের দ্বারা গণতন্ত্র হত্যার অতীত ভুলে গেছে। ভুলে গেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের চলমান অগ্রযাত্রায় পদে পদে প্রতিবন্ধকতা তৈরির কথাও। মুখে জনগণের অধিকার আর গণতন্ত্রের কথা বললেও নির্বাচনে অংশ না নেওয়া বিএনপির স্পষ্ট দ্বিচারিতা। তিনি বলেন, যে দলের মহাসচিব নির্বাচিত হয়েও সংসদে যান না, অথচ জনগণের অধিকারের কথা বলেন। এ থেকে বুঝা যায়, তাদের কথা ও কাজে কোনো মিল নেই। বিএনপি এসব বুঝতে পেরেই ভরাডুবি এড়াতে নির্বাচন থেকে দুরে সরে গেছে, যা প্রকারন্তরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দলীয় শীর্ষ নেতাদের হঠকারিতা আর সরকারের বিরুদ্ধে অতিমাত্রায় কৌশল করতে গিয়ে বিএনপি এখন আস্থাহীনতার ফাঁদে পড়েছে। তারা এ ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসতে পারছে না। ফাঁদ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলেও নেতিবাচক আর দূর-নিয়ন্ত্রিত রিমোট কন্ট্রোলে বিএনপির সঙ্কট আরও নিমজ্জিত হয়েছে।
সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবের চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফিরলে বিষয়টি দেখবেন।

শেখ হাসিনা সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বসী উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনাকালে কিংবা অন্যান্য সময়ে গণমাধ্যম এবং সংশ্লিষ্ট কর্মীদের সুখে-দুঃখে শেখ হাসিনা সবসময় পাশে ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন। সাংবাদিকদের জন্য বিএনপি মায়াকান্না করছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যাদের হাত সাংবাদিকদের রক্তে রঞ্জিত, এখন তারা সাংবাদিকদের জন্য মায়াকান্না করছে। এ নিয়ে বিএনপির কথা-বার্তা মাছের মায়ের পুত্র শোকের মতো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ