হেফাজত নেতার নৈতিক অবনমনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তথ্যনির্ভর এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ধর্ম ব্যবসায়ীদের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।

গতকাল ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য ধর্ম ব্যবসায়ীদের আঁতে ঘা লেগেছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, জনগণ ভেবেছে এ লজ্জাজনক ঘটনার পর তথাকথিত নেতারা জনসম্মুখে ক্ষমা চাইবেন, কিন্তু দেখা যাচ্ছে চোরের মায়ের বড় গলা। তিনি বলেন, এ দেশ পীর আউলিয়া ও ওলামায়ে কেরামের দেশ, এখানে ধর্মকে অধর্ম চর্চার হাতিয়ারে পরিণত করতে খোদ ইসলামপ্রিয় জনগণই দেবে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের একজন নেতার সোনারগাঁয়ের একটি রিসোর্টে অনৈতিক ঘটনার পর তাদের ফোনালাপসহ অন্যান্য বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল এবং একজন নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেওয়া এখন আর গোপন নয়।

কাদের বলেন, এসব অনৈতিক ঘটনার সমর্থনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের যে তান্ডবলীলা চলছে, তাতে এই উগ্র-সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠীর স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে। এই উগ্র সা¤প্রদায়িক গোষ্ঠী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকিস্বরূপ, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে টার্গেট করেই তারা তাদের পুরনো পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে চায় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ধর্মীয় এই অপশক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করার জন্য মুক্তিযুদ্ধের সব দেশপ্রেমিক জনগণকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যারা তান্ডব চালিয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার দেশব্যাপী গতকাল থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন কার্যকর করতে শুরু করছে। সরকারের ১৮ দফার নির্দেশনাগুলো অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলার জন্য দেশবাসীর কাছে তিনি আহ্বান জানান। উদাসীনতা না দেখিয়ে সবাই শতভাগ মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করেন তিনি।