পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দ্বিতীয় ধাপে পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ বিজয়কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক নেতৃত্বে এগিয়ে যাওয়া উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও সমৃদ্ধির বিজয় বলে উল্লেখ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কদের। তিনি বলেন, ‘এ বিজয় গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার বিজয়। নির্বাচনে ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি শেখ হাসিনা সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর জনগণের অব্যাহত আস্থারই বহিঃপ্রকাশ।’
গতকাল সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে ৬০টি পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বেসরকারি ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেছেন। নির্বাচন কমিশনের প্রাথমিক হিসাবে বলা হয়েছে, নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৬০ থেকে ৭০ ভাগ যা ছিল আশাব্যঞ্জক। যারা দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, নির্বাচন নিয়ে কথায় কথায় হতাশা প্রকাশ করে, এ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের উদ্দেশ্যমূলক অপপ্রচারের জবাব দিয়েছে।
নেতৃত্বের দুর্বলতা আর অস্বচ্ছ রাজনীতিই বিএনপিকে ভোটের রাজনীতি থেকে দিন দিন পিছিয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা জনগণের কাছে ভোট না চেয়ে সরকারের অন্ধ সমালোচনা ও মিথ্যাচারকেই ব্রত হিসেবে নিয়েছে; যা প্রকারান্তরে তাদের রাজনৈতিক অস্তিত্বকে দুর্বল করে তুলছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির আমলে নির্বাচনে হানাহানি, সংঘাত আর প্রাণহানি লেগে থাকতো। বর্তমান সরকারের সময়ে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন ইউনিটে নির্বাচনে হানাহানি ও অস্ত্রের মহড়া বন্ধ হয়েছে।’ বিএনপি নেতাদের ‘ভোটকেন্দ্র সরকারি দলের দখলে ছিল’ অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, তাহলে তাদের চার জন প্রার্থী কীভাবে বিজয়ী হলেন? এমনকি তাদের দু’জন বিদ্রোহী প্রার্থীও জয়লাভ করেছেন। আসলে বিএনপি নেতারা মাঠে না গিয়ে ঘরে বসে শীত উদযাপন করেন। কর্মীরা ভোট দিতে চাইলেও মাঝদুপুরে ভোট বর্জনের সংস্কৃতি তাদের তাড়া করে।
পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যারা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেছে, তাদের ভবিষ্যতে দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদে বিবেচনায় আনা হবে না বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী ধাপের নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না এবং দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করবে, তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের জয় হোক কিংবা পরাজয়, পরবর্তী নির্বাচনে আর মনোনয়ন পাবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।