বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সীতাকুন্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে একটি দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী চক্র মোবাইল ছিনতাই করে আবার চলন্ত ট্রেন থেকে ফিল্মি স্টাইলে লাফিয়ে পালিয়ে গেছে। এসময় ছিনতাইয়ের শিকার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তার মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে ছিনতাইকারীকে ধরতে সেও চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে পড়ার চেষ্টা চালায়। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে উপজেলার ভাটিয়ারী রেলস্টেশন ও নৌবাহিনীর গেট’র মাঝামাঝি জায়গায় এ দুর্ধর্ষ এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
সুমাইয়া আক্তার জানায়, চট্টগ্রাম রেল স্টেশন থেকে সাগরিকা ট্রেনে করে চাঁদপুর যাচ্ছিল তারা দু’বোন। ট্রেনটি ভাটিয়ারী রেল স্টেশন এলাকায় পৌঁছালে সেখানে বিরতি পর ট্রেনের 'ক' বগীর দরজার পাশের সিটে যাত্রী বেশে বসে থাকে এক যুবক। এসময় সুযোগ বুঝে যাত্রী সুমাইয়ার হাত থেকে একটি মোবাইল ছিনিয়ে চলন্ত ট্রেন থেকে লাফিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ছিনতাইকারী।
'ক' বগীর দায়িত্বে থাকা টিকেট মাস্টার এনামুর নামি তুষারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমাদের সবার সামনেই ঘটনাটি ঘটলেও ছিনতাইকারী চলন্ত ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার কারণে আমাদের পক্ষে কিছুই করা সম্ভব হয়নি তখন। শুধু তাই নয় এরপর শিক্ষার্থী সুমাইয়াও তার শখের মোবাইলের জন্য সেও ছিনতাইকারীকে ধরতে ট্রেন থেকে লাফ দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এসময় ট্রেনের অন্যান্য যাত্রীরা ও তার সাথে থাকা সুমাইয়ার বড়বোন তাকে ধরে ফেলে নিশ্চিত মৃত্যু থেকে রক্ষা করে তাকে।
এদিকে ছিনতাইয়ের শিকার সুমাইয়ার কলেজ পড়ুয়া বোন তানিয়া আক্তার বলেন, ট্রেনের বগীর দরজার পাশের সিটে বসা ওই ছিনতাইকারীকে আমরা প্রথমে মনে করে ছিলাম ভালো মানুষ। কিন্তু সে যে ছিনতাইকারী ছিলো তা বোঝার কোনো উপায় ছিলো না আমাদের। ছোট বোনের হাত থেকে মোবাইলটি ছিনিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পর বুঝতে পারি সে যুবক আসলেই দুর্ধর্ষ একজন ছিনতাইকারী ছিলো।
ট্রেনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা গার্ডরা সাংবাদিকদের জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের শিকার শিক্ষার্থী সুমাইয়া আচরাপুল উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনির ছাত্রী এবং কচুয়া থানার আচরাপুল গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলামের কন্যা।
একই বগীতে থাকা যাত্রী মোঃ আলতাফ হোসেন সাংবাদিককে জানান, ভাটিয়ারী স্টেশন ও নৌবাহিনী গেট’র মাঝামাঝি স্থানে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা প্রায় সময়ে ঘটে। এই চক্রটি ভাটিয়ারীর নির্জন এই স্থানটিতে ছিনতাইয়ের নিরাপদ স্থান মনে করেই তারা ছিনতাই করে চলেছে।
এদিকে ফৌজদারহাট রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, চলন্ত ট্রেনে মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা আমি শুনিনি। তবে ছিনতাইয়ের সাথে জড়িতদের খোঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।