বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলের করোনা সংক্রমন পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও এক-পঞ্চমাংশে হ্রাস পেয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের অন্যসব সরকারী হাসপাতালগুলোও প্রায় করোনা রোগী শূণ্য। সোমবার শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে মাত্র ২১ ছাড়া আইসোলেশন ওয়ার্ডে আরো ১৫ জন রোগী পর্যবেক্ষনে ছিলেন। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালটিতে মাত্র ৩ জন করোনা রোগী ভর্তি হলেও ছাড়পত্র পেয়েছেন দুজন। এ ছাড়া দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত এ হাসপাতালটির আইসিইউ’তে সোমবার সকালে আরো ৫ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। এঅঞ্চলে ইতোমধ্যে নমুনা পরিক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার মাত্র ৫.৩৯%-এ নেমে এসছে। যা গত জুলাই মাসে ৭৪%-এ উন্নীত হয়েছিল। গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালটিতে ভর্তিকৃত ৫জনের নমুনা পরিক্ষায় কারো দেহেই করোনা শনাক্ত হয়নি।
সোমবার দুপুরের পূর্ববতি ২৪ ঘন্টায় এ অঞ্চলে ৫৩৮ জনের নমুনা পরিক্ষায় ২৯ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। আর এ সময়ে দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার মধ্যে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং বরগুনা হাসপাতালে একজন করোনা রোগী ভর্তি করা হয়েছে।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহত সরকারী চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উল্লেখযোগ্য ভ’মিকা পালন করলেও চিকিৎসক ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে রোগী এবং তাদের স্বজনদের অভিযোগও রয়েছে। এরপরেও গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে ১ হাজার বেডের এ হাসপাতালে প্রথমে ১২৫টি শয্যা নিয়ে করোনা ওয়ার্ড চালু করা হলেও ক্রমে তা ৩শ শয্যায় উন্নীত করা হয়। এছাড়া পর্যায়ক্রমে ৩০টি আইসিইউ বেড চালু করা হয় হাসপাতালটিতে। ১৩৬টি সেন্ট্রাল লাইন ছাড়াও ৬৯৩টি সিলিন্ডারের মাধ্যমেও এ পর্যন্ত প্রায় নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবারহ অব্যাহত রাখা হয়েছে। এখানে ৭৭টি হাইফ্লোন্যাজল ক্যানোলা’র সাহাঙ্যেও করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হাসপাতালটিতি ১টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর রয়েছে। তবে গত প্রায় দেড় বছরে হাসপাতালটি থেকে শতাধীক অক্সিজেন সিলিন্ডার গায়েব হয়ে যাবার একটি অভিযোগেরও তদন্ত চলছে।
গত ১৮ মাসে হাসপাতালটির করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৭ হাজার ১৬৮ জনকে ভর্তি করা হলেও এরমধ্যে করোনা পজিটিভ শনাক্ত রোগী ছিলেন ২ হাজার ৩২৪ জন। যারমধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৬ জন। তবে হাসপাতালটির করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত দেড় বছরে যে ১ হাজার ৩৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, তরমধ্যে করোনা পজিটিভ নিয়েই ৪২০ জন মারা গেছেন। দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলায় এপর্যন্ত সর্বমোট করোনা পজিটিভ রোগী ৪৪ হাজার ৮০৫ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৬৭৬ জন । অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন।
তবে গত ১৮ মাসে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা হাসপাতালগুলোতে যে ৫ হাজার ৮৬০ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন, তার মধ্যে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন ২ হাজার ৩২৪ জন। এর বাইরে যে আরো ১১ হাজার ৭৫৫ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে এ অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন, তারমধ্যে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই সংখ্যাটা ৭ হাজার ১৬৫। তবে হাসপাতালটির আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তিকৃত এ বিপুল সংখ্যক রোগীর মধ্যে সাড়ে ৯শরও বেশী মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । যাদের অনেকেই শ^াসকষ্ট, নিউমোনিয়া সহ নানা ধরনের বক্ষব্যাধী নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসধীন ছিলেন। আর মৃতদের প্রায় ৭০ ভাগই ছিলেন ষাটোর্ধ।
এসব ব্যাপরে শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ সাইফুল আলম-এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী সংকট সহ অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা অন্যসব রোগীর মত করোনা সংক্রমিতদের যথাযথ চিকিৎসার চেষ্টা করে যাচ্ছি । এখন পর্যন্ত এ হাসপাতালে সুস্থতার হার যথেষ্ঠ ভাল বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।