প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
গত ১ সেপ্টেম্বর বহুল আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি মাদক মামলায় কারাগার থেকে জামিন পান। কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় হাতের তালুতে লেখা ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। লেখাটি নিয়ে সে সময় ব্যাপক সমালোচনা হয়। এমন অশ্লীল বাক্য লিখে তিনি কি বোঝাতে চেয়েছেন, তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে এটিকে তার বিকৃত রুচির প্রকাশ বলে মনে করেন। অনেকে মনে করেছিলেন, পরীমনি জেল থেকে বের হয়ে নিজেকে শুধরে নেবেন। চলচ্চিত্রাঙ্গণের বিশিষ্টজনরাও তাকে এ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছিলেন। তবে পরীমনির মধ্যে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। তিনি আরও বেপরোয়া আচরণ করছেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বর পরীমনি মামলার শুনানির জন্য আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন। এ দিন তিনি হাতের তালুতে আরেকটি অশ্লীল কথা লিখে সবার সামনে তুলে ধরেন। এমন অশ্লীল বাক্য প্রদর্শন করা নিয়ে তার সমালোচনা চলছে। এর একদিন পরেই দিবাগত রাতে পরীমনি ফেইসবুকে দুটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে তার হাতে দেখা যায় জ্বলন্ত সিগারেট এবং হাতের তালুতে লেখা রয়েছে সেই অশ্লীল বাক্য। ছবিতে দেখা যায়, সিগারেট হাতে ক্যামেরায় পোজ দিয়েছেন পরীমণি। তার পরনে কালারফুল প্রিন্টের টপস, খোলা চুলে চোখে চশমা, পায়ে লাল-কালো রংয়ের কেডস। প্রায় অর্ধনগ্ন ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে পরীমনি লিখেছেন, ‘সিগারেট স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এ নিয়ে নেটিজেনরা চরম সমালোচনা করছেন। এ নিয়ে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ফেইসবুকে পোস্ট দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। তিনি লিখেছেন, একজন সেলেব্রিটির কাছ থেকে এরকম অশোভন আচরণ কাম্য নয়- আমাদের ছেলে মেয়েদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে...। নেটিজেনদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, ‘এই মেয়ে জেল থেকে বের হয়ে না শুধরে আরও উচ্ছৃঙ্খল হচ্ছে। এর কাউন্সিলিং করানো দরকার এবং সুচিকিৎসা দরকার।’ এ বিষয়ে একটি অনলাইন পত্রিকায় আন্তর্জাতিক বার অ্যাসোসিয়েশন প্রদত্ত ‘আইবিএ প্রোবোনো অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ অর্জনকারী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, পর্নোগ্রাফি আইন-২০১২ সালের ২ এর ‘গ’ উপধারায় পর্নোগ্রাফি-এর সজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যাহা চলচ্চিত্র, ভিডিও চিত্র, অডিও ভিজ্যুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোন উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যাহার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই।’ এ ধরণের অপরাধের শাস্তি সম্পর্কে একই আইনের ৮ ধারার ৪ উপধারায় বলা হয়েছে, ‘কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি প্রদর্শনের মাধ্যমে গণউপদ্রব সৃষ্টি করিলে তিনি অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবেন এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত সশ্রম কারাদন্ড এবং ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হইবেন। পর্নোগ্রাফি আইনের অপরাধসমূহ আমলযোগ্য এবং অ-জামিনযোগ্য অর্থাৎ জামিনযোগ্য নয়।’ ইশরাত হাসান বলেন, এখানে নায়িকা পরীমনি পর্নোগ্রাফি আইনের গ্রাফিকস বা অন্য কোন উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যাহার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই সজ্ঞামতে অপরাধ করেছেন বলে মনে করছি। তবে কেউ এ বিষয়ে থানায় কিংবা আদালতে অভিযোগ না করলে আইনের প্রয়োগ বিচার পর্যন্ত গড়াবে কেমন করে?
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।