পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
সউদী আরবের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার ও বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সউদী বিনিয়োগ বাড়াতে চায় সরকার। এ লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল আটদিনের সফরে সউদী আরব পৌঁছেছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে প্রতিনিধি দলটি ঢাকা ত্যাগ করে। ঢাকা ত্যাগের আগে সালমান এফ রহমান বলেন, এই সফরে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রকল্পের বিষয়ে আলোচনা হবে। বিশেষ করে ঢাকা-পায়রা বন্দর রেল সংযোগ ও কক্সবাজার উন্নয়নে সউদী অর্থায়ন নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া বেসরকারি কয়েকটি খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়টিও সফরে গুরুত্ব পাবে। সালমান এফ রহমান আরও বলেন, ২০১৯ সালে সউদী আরব থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিনিয়োগ মন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখন তাদের সঙ্গে বেশ কিছু চুক্তি হয়েছিল এবং অনেকগুলো প্রকল্প নিয়ে কথা বলেছিলাম। এরপর এগুলো ফলোআপ করার জন্য ওনাদের সফরের পর আমাদের যাওয়ার কথা ছিল। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আমরা যেতে পারিনি। যদিও কিছু কিছু চুক্তির কাজ এগিয়েছে। আমরা সেই ফলোআপ সফরে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের যে কথাগুলি ছিল যে তিন-চারটা খাতে তারা বিনিয়োগ করবে। জ্বালানি, বিদ্যুৎ, শিল্প ব্যবস্থাপনা, ট্রান্সফার প্রস্তুতসহ অনেকগুলি বিষয় ছিল। সবগুলোর ফলোআপ আমরা করব। আরেকটা প্রস্তাব দিতে যাচ্ছি, ঢাকা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ সউদী ডেভেলপমেন্ট ফান্ড থেকে তারা অর্থায়ন করবে। এটার ওপর আমরা জোর দেব। পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড আছে তাদের। আমরা তাদের সাথে দেখা করব, কথা বলব কক্সবাজার নিয়ে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান কক্সবাজারে উন্নয়ন করতে। উন্নয়নের একটা হাব শুধু ট্যুরিস্টের জন্য না। ওখানে একটা বড় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে, কনফারেন্স সেন্টার, হোটেল এগুলো সবকিছু নিয়ে কক্সবাজারে ডেভেলপমেন্টের বিষয়ে আমরা চেষ্টা করব। এই সফর নিয়ে কতটা আশাবাদী- এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, সেটা যাওয়ার পরে বোঝা যাবে। ওনারা জানিয়েছেন ওনারা অনেক আগ্রহী। প্রধানমন্ত্রী যখন ২০১৮ সালে সউদী বাদশাহ’র সঙ্গে এবং সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তখন সউদী যুবরাজ প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলেন তিনি চান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে। বাংলাদেশের সঙ্গে সউদী অর্থনৈতিক সহযোগিতা যেন আরও নিবিড় হয়। প্রধানমন্ত্রীর সেই সফরের পর সউদী বাণিজ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছিল। এখন আমরা যাচ্ছি সেটার ফলোআপ করার জন্য। আমি আশাবাদী সউদী বিনিয়োগ পাব ইনশাআল্লাহ। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক জোন কর্তৃপক্ষ (বেজা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ অথরিটি (পিপিপিএ)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ, বিডা সচিব ড. আবদুল হামিদ, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের মহাপরিচালক এফএম বোরহান উদ্দিন, এফবিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল মোমেন, মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল, এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ। সফরে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান সউদী আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠক করবেন। এছাড়া আটদিনের সফরে পরিবহনমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার সালেহ আল জাসের, সউদী চেম্বার অব কমার্স, পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের ডেপুটি গভর্নর ইয়াজিদ আলহুমাইদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করবে প্রতিনিধি দল। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিনিয়োগ বিষয়ক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর প্রতিনিধি দলটি দেশে ফিরে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।