বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফতুল্লার কুতুবপুরে বইছে নির্বাচনী হাওয়া।বাজতে শুরু করেছে ইউপি নির্বাচনের ঢামাঢোল।নড়েচড়ে উঠতে শুরু করেছে ভোটাররা।প্রার্থীরা জোর লবিং শুরু করেছে সরকার দলীয় উচ্চ মহলে। চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হতে পারে বর্তমান চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু ও ফতুল্লা থানা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মেস্তফা কামালের মধ্যে। এ দুজনের যে কোন একজন হতে পারেন কুতুবপুর ইউনিয়নের কান্ডারী।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন নানা কারণেই আলোচনার তুঙ্গে থেকেছে বরাবরই। বিশাল আয়তনের ঘনবসতিপূর্ণ এই ইউনিয়নেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। প্রার্থীরাও প্রচার-প্রচারণায় চালাচ্ছেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, এই ইউনিয়নে ১৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে আছেন সাবেক বিএনপি নেতা মনিরুল আলম সেন্টু৷ গত নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থীকে পরাজিত করে তিনি তৃতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন৷ ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মহলের আশীর্বাদ পেয়েই তিনি ভোটযুদ্ধে জয়ী হন বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তবে এনিয়ে আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি৷
খোদ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এই ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বলে ওই সময়ে প্রথম সারির জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে উঠে আসে। মেয়র আইভীসহ অনেকেই এই নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তাদের বিপরীত মেরুর লোকেদের একহাত নিয়েছেন প্রায়শই।
সূত্র জানায়, এবারও যেকোনো মূল্যে নির্বাচন করতে মুখিয়ে আছেন সেন্টু৷ তবে স্থানীয় এমপির আশীর্বাদ না পেলে এবার তিনি ভোটযুদ্ধ থেকে ছিটকে পড়তে পারেন৷ আনপ্রেডিক্টেবল সাংসদ শামীম ওসমানের আশীর্বাদ এবার তিনি পাবেন কিনা, সেটিই দেখার বিষয়। সামনের সিটি নির্বাচনও কুতুবপুরের নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।
ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোস্তফা কামাল মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে প্রচার রয়েছে৷ইতিমধ্যেই তিনি সরকার দলীয় উপরি মহলে তদবীরের পাশাপাশি তৃনমূল পর্যায়ে যোগাযোগ করে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছেন। তথ্য মতে সরকারী উচ্চ মহলে রয়েছে তার গভীর সখ্যতা।ইতিমধ্যে নির্বাচনী গ্রিন সিগন্যাল ও মিলেছে উপর মহল থেকে।চমক হিসেবে তিনি এই ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী হতে পারেন বলে মনে করেন অনেকে৷
এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম উদ্দিন নির্বাচন করতে আগ্রহী বলে জানা গেছে৷ গত নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। এই দফায় ইতোমধ্যে ব্যানার ফেস্টুনের মাধ্যমে তিনি নিজের ইচ্ছের কথা জানান দিচ্ছেন।
এছাড়া স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হাওলাদার, ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের নামও। তবে তারা মনোনয়ন দৌঁড়ের শেষ অবধি যেতে পারবেন না বলে মনে করছেন অনেকে৷ কুতুবেুরের সাবক চেয়ারম্যান গোলাম রসুলের নাম উঠে আসলেও শেষ পর্যন্ত মনিরুল আলম সেন্টু এবং মোস্তফা কামালের যে কোন একজন হতে পারে কুতুবপুরের আগামী দিনের কান্ডারী এমনটা মনে করছেন স্থানীয় মহল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।