Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডলফিন মেরে উৎসব বন্ধের দাবি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

চারশ বছর ধরে চলে আসা উৎসব পালন করতে গিয়ে অসংখ্য ডলফিন হত্যা করা হয়েছে ডেনমার্কের ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জে। ফ্যারো হলো উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ। ডেনমার্কের অধীনে স্বশাসিত অঞ্চল। সেখানেই রোববার প্রায় এক হাজার চারশরও বেশি ডলফিনকে হত্যা করা হলো। এই শিকার উৎসবের নাম গ্রিন্ডাড্র্যাপ। কিন্তু রোববার এত ডলফিন মারা হয়েছে যে, এই দ্বীপের ভাবমর্যাদায় প্রবল আঘাত লাগতে বাধ্য। পরিবেশ বিজ্ঞানী, সমুদ্র ও তার জীবনচক্র নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা এ নির্বিচারে প্রাণী হত্যার নিন্দা করেছেন। তারা অবিলম্বে এই প্রথা বন্ধের দাবি তুলেছেন। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থা সি শেফার্ড ফেসবুকে একটা লম্বা ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে, এক হাজার ৪২৮টি ডলফিন মারা হয়েছে। এই ডলফিনগুলির একপাশ সাদা। এই দ্বীপপুঞ্জে এর আগে কখনো এত ডলফিন হত্যা করা হয়নি। সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থা ওশন কেয়ার জানিয়েছে, যেভাবে প্রাণী হত্যা করা হয়েছে তা মানা যায় না। সব সীমারেখা তারা পার করে গেছে। এই দ্বীপপুঞ্জের মানুষ প্রতিবছর এক হাজারের মতো সামুদ্রিক প্রাণী মারেন। গতবার তারা ৩৫টি ডলফিন মেরেছিলেন। এই শিকারে বহু মানুষ অংশ নেন। বিভিন্ন গোষ্ঠী নৌকায় করে ডলফিন ও পাইলট তিমিকে তাড়িয়ে তীরের দিকে নিয়ে আসে। এরকমই একটি সংস্থার সাবেক চেয়ারম্যান বলেছেন, এই বছর অত্যন্ত বেশি প্রাণীহত্যা হয়েছে। তাই তিনি নিজেকে এর থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। পাইলট তিমি বা একদিকে সাদা রঙের ডলফিন বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী নয়। তা সত্ত্বেও এত প্রাণী কেন মারা হবে, সেই প্রশ্ন উঠছে। তবে অন্যবার শিকারে পাইলট তিমিই বেশি মারা হতো। ডলফিন ও পাইলট তিমিগুলিকে তাড়িয়ে তীরের দিকে নিয়ে আসা হয়। তারপর তা ছুরি দিয়ে মারা হয়। এ নিয়ে স্থানীয় আইনও আছে। প্রাণীর মাংস ও ব্লাডার স্থানীয় মানুষদের মধ্যে বিলি করে দেয়া হয়।’ ডয়েচ ভেলে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ