রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
স্বাভাবিক কর্মকান্ডে স্থবিরতা
আশাশুনি (সাতক্ষীরা) উপজেলা সংবাদদাতা
আশাশুনি উপজেলা পরিষদসহ উপজেলা পর্যায়ে ২৫টি সরকারি অফিসের মধ্যে ১৩টি অফিসে কর্মকর্তার পদশূন্য রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পদগুলো শূন্য থাকায় স্বাভাবিক কর্মকা- স্থবির হতে শুরু করেছে। অফিসগুলোর ফাইলপত্র অগোছালো হতে চলেছে। উপজেলা পরিষদভুক্ত এবং উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও, এসি (ল্যান্ড), ওসি, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, সমবায়, সমাজসেবা, প্রকৌশলী, পল্লী উন্নয়ন, মাধ্যমিক শিক্ষা, শিক্ষা, নির্বাচন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, পিআইও, যুব উন্নয়ন, মহিলা বিষয়ক, পরিবার-পরিকল্পনা, হিসাব রক্ষণ, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সাব-রেজিস্ট্রার, পরিসংখ্যান, দারিদ্র্য বিমোচন, আনসার-ভিডিপি কর্মকর্তার অফিস রয়েছে। এসব অফিসগুলোর মধ্যে ২/১টি বাদে সবগুলোরই গুরুত্ব অনেক বেশি। প্রতিদিন এসব অফিসে কাজকর্ম হয়ে থাকে। অতিগুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আশাশুনিতে বছরের পর বছর ধরে অনেক অফিসে কর্মকর্তার পদশূন্য রয়েছে। আবার সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে আশাশুনি থেকে বদলি করা হলেও তদস্থলে কাউকে এখানে পোস্টিং দেওয়া হয়নি। পদশূন্য থাকা পদগুলোর মধ্যে মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, সমবায়, সমাজসেবা, পল্লী উন্নয়ন, পরিসংখ্যান, মাধ্যমিক শিক্ষা, শিক্ষা, নির্বাচন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী, খাদ্য নিয়ন্ত্রক, সাব রেজিস্ট্রার ও আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার পদ রয়েছে। অধীস্থন কাউকে ভারপ্রাপ্ত করে, কাউকে ২/৩টি উপজেলার সাথে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে, কাউকে চলতি দায়িত্ব দিয়ে এসব অফিস পরিচালিত হচ্ছে। ফলে কোন কোন অফিসে মাসে একদিন, কোন কোন অফিসে মাসে ২/৪ দিন করে কর্মকর্তাদের দেখা মেলে। ফলে অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলা সমন্বয় কমিটিসহ অন্যান্য মিটিং সিটিং এ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি দেখা যায় না। কার্যক্রম ফাইলবন্দি হয়ে রয়েছে। জনসাধারণ দিনের পর দিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, শিক্ষা, জনস্বাস্থ্য, সাব-রেজিস্ট্রারের মত অতি গুরুত্বপূর্ণ পদশূন্য থাকায় আশাশুনিতে চলমান ও অতি প্রয়োজনীয় কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। দৈনিক নয় বর্তমানে সপ্তাহে ১/২ দিন করে অফিস কার্যক্রম চালু রাখার মত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অফিস পাড়ায় গেলে মনে হয় জনমানব শূন্য ঘর-বির্ল্ডিং খাড়িয়ে আছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিটিং বা জরুরি কাজে অফিসে না থাকলে সেদিন উপজেলা পরিষদ এলাকা জনমানব শূন্য মরুতে পরিণত হয়। অবস্থাদৃষ্টে অফিসে এসে বারবার ফিরতে থাকা অনেককে বলতে শোনা যায়, “দেশে কি অফিসারের আকাল পড়েছে! নাকি আশাশুনি উপজেলা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিস্মৃতির অতল গহ্বরে নিমজ্জিত হয়েছে।”
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।