প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হাজিরা দিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। বেলা পৌনে ১১টায় আদালতে হাজির হন তিনি। এসময় তার হাতে দেখা যায় লেখা, ‘লাভ মি মোর’। আগেরবারের মতোই এবারের লেখাটিও নজর কেড়েছে সবার।
পরীমনির ঘনিষ্টজনদের সূত্রে জানা যায়, এ লেখায় তিনি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। তবে কাকে কি উদ্দেশ্যে সেই চ্যালেঞ্জ তা জানা যায়নি।
আদালতে হাজিরা দিতে এসে পরীমনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যখন আমার বাসায় অভিযান পরিচালনা করে, তখন সব ড্রয়ার ও আসবাবপত্র তছনছ করে ফেলে। এমনকি প্রেসক্রিপশনসহ আমার ওষুধের বক্সটা পর্যন্ত তারা নিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, আমার গাড়িসহ অন্যান্য জিনিসের কোনো কাগজপত্র আমার কাছে নেই। বাসায় আমি ছাড়া আর আমার কোনো কিছুই নেই।
উল্লেখ্য, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন পেয়ে গেল ১ সেপ্টেম্বর কারামুক্ত হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমনি। বের হওয়ার সময় কারাফটকে তিনি উপস্থিত জনতাকে হাত তুলে শুভেচ্ছা জানান। সেসময় তার হাতে লেখা ছিল, ‘Dont ও লাভ চিহ্ন, এরপর me Bitch’ (ডোন্ট লাভ মি বিচ)। পরীমনির এমন পাগলামিতে অনেকেই আহত হয়েছিল আবার অনেকে সাহসী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। তাদের মতে, কারাবাস শেষে পরীর আরও সংযত হওয়া উচিত ছিলো।
এর আগে গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। সেদিন বিদেশি মদসহ বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দের দাবি করে বাহিনীটি। পরের দিন বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে র্যাব। ওই মামলায় পরীমনিকে আদালতে তোলা হয়। আদালত পরীমনিকে প্রথম দফায় ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেয়। পরে তাকে আবারও দুই দফায় তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন। পরদিন গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কারামুক্তি হন পরীমনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।